মাসুদ রানা : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভারত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সড়কের প্রায় সাড়ে
৪ কিলোমিটার তুরা সড়কের দুইপাশে ভেঙে যাচ্ছে। জানাযায় নিম্নমানের কাজ হওয়ায় পাহাড়ী ঢল ও বন্যার পানির স্রোতে শতাধিক খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারী জনগণ। দ্বিতীয় বাড়ের বন্যায় তুরা সড়কে কোন খোতি না হলেও। তৃতীয় বাড়ের বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গেই চলছে সড়কটি। আর এতে ঐতিহাসিক তুরা সড়কটির হারিয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য্য।
স্থানীয় আব্দুল মতিন, শফিকুল ইসলাম, আবু সাইদসহ অনেকেই বলেন, সড়ক টি দ্রুত সংস্কার না করা হলে, চরনতুনবন্দর, বামোনেরচর, চান্দারচর,ব্যপারী পাড়া, চরবামোনেরচর, ফুলবাড়ী, নওদাপাড়া,ও খাটিয়ামারী,গ্রামের প্রায় ৪০হাজার
মানুষের স্থলবন্দরের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় সাড়ে ৪কিলোমিটার তুরা রাস্তা, ৩টি ব্রীজ ও ৩টি বক্সকালভার্ড নিমার্ণ করা হয়। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৩-১৪ ইং অর্থ বছরে সংসদে ৩৩ কোটি টাকা একনেকে পাশ হয়। এর মধ্যে ২২ কোটি টাকা ব্যয় সাড়ে ৪ কিলোমিটার তুরা রাস্তা ও ৩টি বক্সকালভার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। অপর দিকে ১১কোটি টাকা ব্যয় ৩টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয়পার্টি ও বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল রৌমারী উপজেলার দিকে কোন নজর দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার বর্তমান দেশরত্ন ও জনগণের বন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ অঞ্চলে সুনজর দেন। এর আগে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে জাকির হাসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আশানুরুপ উন্নয়ন করেছেন। ঐতিহাসিক তুরা রাস্তা নির্মাণ করায় অত্র এলাকায় জনমান উন্নয়ন হয়েছে। যা চোখে পড়ার মতো। সেই সাথে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে চরনতুনবন্দর স্থলবন্দর চালু করা হয়েছে। যদিও সেটি পূনাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে এখনও ঘোষনা করা হয়নি। স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্য থেকে পাথর,কয়লা, শুটিকি, আদাসহ ২৯ প্রকার মালামাল আমদানী করা হচ্ছে। আবার বাংলাদেশ থেকে তুলা, মেলামাইন, প্লাষ্টিকের আসবাবপত্র ও বইসহ ২৯ প্রকার মালামাল রপ্তানী করা হচ্ছে। এসমস্ত মালামাল প্রতিদিন ৫০/৬০টি ট্রাক দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাসদরে নিয়ে চাহিদা পূরণ করা হয়। তুরা রাস্তা দিয়ে অসংখ্য রিক্রা,অটোভেন,বোরাক,বাস,ট্রাক, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। স্থলবন্দরে ৫হাজার
লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, গত বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে তুরা সড়কের কোন খোতি না হলেও। তৃতীয় বারের বন্যার পানিতে সড়ক টির দুই পাশের মাটিসড়ে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়কটিতে জিও ব্যাগ ফেলে সংস্কারের কাজ চলছে।
Leave a Reply