উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মেলবন্ধনে শুরু থেকেই হোচট খেতে খেতে চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর ৪র্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে চলতে শুরু করে নানান বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। উপাচার্য স্যারের সময়কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশন এর ক্ষেত্রে স্যারের ভূমিকা অপরিসীম। পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াই- ফাই চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোতে ওয়াই-ফাই যুক্তকরণ, স্মার্ট টিভি সংযোজন , ক্যাম্পাস রেডিও সংযুক্তি, ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু, ই-টেন্ডার, ই-প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ, প্রতিটি বিভাগে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম চালু, পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, প্রশাসনিক ভবন থেকে রাস্তা পাকাকরণ, আনসার ক্যাম্প নির্মাণ, বাসের গ্যারেজ নির্মাণ ইত্যাদি যুগোপযোগী পদক্ষেপ গৃহীত ও সম্পন্ন হয়েছে মাননীয় উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে। রংপুরের কৃতি সন্তান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে সুদুরপ্রসারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মাননীয় উপাচার্য স্যার। তারই ধারাবাহিকতায় উপাচার্য স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম বারের মত চালু করেছেন আইসিটি সেল। এটি একটি স্বতন্ত্র সেল, যেখান থেকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বামী, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট। বর্তমানে এখানে এমফিল ও পিএইচডি কোর্স চালু আছে। করোনা কালীন এই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট এর কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে অনলাইনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মাননীয় উপাচার্য স্যার অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলছে অনলাইনে। নবাগত নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী দের কাজের দক্ষতা বাড়াতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিভিন্ন মেয়াদে ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং চালু হয়েছে। উপাচার্য স্যার রাত, দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। বিভিন্ন ধরনের জার্নাল প্রকাশের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমে শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করতে তিনি তাদের মাঝে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক শেখ হাসিনা হলের কার্যক্রম চলমান, খুব শীঘ্রই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ কার্যক্রমই অনলাইন ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাননীয় উপাচার্য স্যার ক্যাম্পাস’কে সময়োপযোগী পুর্নাঙ্গ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বদ্ধপরিকর।
মোঃ সাইফুল ইসলাম
সহকারী কম্পিউটার প্রোগ্রামার,
আইসিটি-সেল,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।
Leave a Reply