বিষয়টি অতীব জরুরী। স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন। বিগত কয়েকদিন ধরে বেরোবি, রংপুর এর নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ একটি বিবৃতি, কয়েকটি ফেইজবুক পোস্ট এবং কয়েকটি সংবাদ প্রসঙ্গে আমার কয়েকটি কথাঃ
বিগত ২৪ জুলাই, ২০২০ খ্রিঃ তারিখে বেরোবি, রংপুর এর নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের একটি বিবৃতি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। তখন বিবৃতিটি পর্যালোচনাপূবর্ক বেরোবির চারজন সংবাদ কর্মীর নেতিবাচক ভূমিকা সম্পর্কে অবগত হয়ে অামি হতবাক ও ব্যথিত হই (বিবৃতির ছবি নিম্নে আলোচ্য পোস্টে দেওয়া আছে)। বিবৃতিটি পর্যালোচনা করে দেখা গেলো যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর( বেরোবি) এর তিনজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলার অাসামী, তাদেরকে সাময়িকী ভাবে বরখাস্ত করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর (বেরোবির) প্রশাসন। কিন্তু ক্যাম্পাস ভিত্তিক চারজন সংবাদ কর্মীর উক্ত সংবাদ প্রকাশ না করে তাদের উদ্দেশ্যমূলক ভূমিকার সমালোচনা করে তাদের অব্যাহতি চেয়েছে উক্ত সম্মানিত শিক্ষক পরিষদ। (সূত্র: নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের বিবৃতি )
আমি ব্যক্তিগতভাবে আরো জেনেছি যে, এই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (সংবাদ কর্মী) তাদের পত্রিকার হেড অফিসে নিউজ করার জন্য অবহিত করেন এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। বিবৃতি মারফত জানতে পারলাম যে, বিবৃতিতে উল্লিখিত ঐ চারজন সংবাদ কর্মী এই অতি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি প্রকাশে বিরত ছিলেন।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্টাফ হিসেবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে বেরোবির তিন জন কর্মকর্তার বহিস্কারের ঘটনা কোন সাধারণ ঘটনা নয়, তুচ্ছ বিষয় নয়। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
অনেক বড় ঘটনা, সারা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সেক্টরের একটি অালোচিত ঘটনা, যা জাতীয় ভাবে নিউজ হওয়ার মতো ঘটনা। এই ঘটনাটি নিউজ না করার কারণ, উদ্দেশ্যপ্রনোদিতও বটে বলে মনে হয়েছে। নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের বিবৃতির সাথে অামি একাত্মতা পোষণ করেছি, একমত পোষন করেছি এবং মনে হয়েছে নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের বিবৃতি যৌক্তিক। এই প্রসঙ্গে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত একজন অফিস স্টাফ হিসেবে নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ এর বিবৃতির সাথে একমত পোষন করেছি। আলোচ্য বহিস্কারের ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট পত্রিকার চারজন সংবাদ কর্মী সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতিকে অবহিত না করাটা অামার কাছে হলুদ সাংবাদিকতা বলেই মনে হয়েছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত অনেক সাধারণ বা তুলনামূলক ছোট ঘটনা এবং সমপর্যায়ের ঘটনাও তাদের মাধ্যমে নিউজ হয়েছে বা সংবাদপত্রে স্থান পেয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের এতো বড় ঘটনা, কেন তাদের পত্রিকার পাতায় অাসেনি, সেটার জন্য বিবৃতিতে উল্লেখিত চার জনকে দায়ী মনে হয়েছে। অামার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে এটা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও সন্দেহজনক এবং ইহা হলুদ সাংবাদিকতা মর্মে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।
অামি একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছি, অত্যন্ত সফলতার সাথে। অামি এখন বেরোবিতে কর্মরত আছি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গৌরব ও মর্যাদা সম্পর্কে অবগত অাছি। আমি কিছু দিন অাগে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। অামি ছাত্রদের মূল্যায়ন করতে জানি।বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদের ভাবমূর্তি, সম্মান ও ইজ্জত সম্পর্কে অবগত অাছি। সংশ্লিষ্ট চারজন সংবাদ কর্মী উক্ত বহিস্কারের ঘটনাটি যথাসময়ে দেশবাসীকে জানানো উচিত ছিল। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সব ঘটনা সারা দেশবাসীর বিভিন্ন কারণে জানার প্রয়োজন আছে। উক্ত বহিস্কারের ঘটনা অনিয়ম করা অথবা অনিয়মের মানসিকতা ধারন করা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষামূলক এবং দৃষ্টান্তমূলক। তাছাড়া অামরা সত্য প্রকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভালোকে ভালো বলবো অার খারাপকে খারাপ বলবো- এটাই আমার প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিক্ষা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো কিছু ঘটলে সেটা অামরা প্রচার করবো, অার খারাপ কিছু ঘটলে সেটা কে ধামাচাপা দিয়ে রাখবো না, প্রকাশ করবো, প্রচার করবো। এই পন্থাকেই আমার কাছে সঠিক মনে হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে। আমিও আমার স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারি। তবে কেউ যদি মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে কারো সম্মানহানি করে অথবা কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তাহলে সেটা অন্যায় এবং আইনবিরোধী। সেক্ষেত্রে আইনের আলোকে সুবিচার পাওয়ার অধিকার সকল নাগরিকদের রয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
উক্ত বিষয়ে আমার ফেইসবুকে স্টাটাস/পোস্ট দেওয়ার কারনে বা সংশ্লিষ্ট নিউজ লিংক শেয়ার করার জন্য অামার নাম ও পদবী উল্লেখ করে দুইজন সংবাদ কর্মী আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমাকে হেয় করেছেন (স্ক্রিনশট নিন্মে দেয়া আছে)। স্পষ্টতই আমি ব্যক্তিগতভাবে, পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং দাপ্তরিকভাবে হেয় হয়েছি, অপমানিত হয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমাকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে লিখা তথ্য ও কল্প-কাহিনীর স্বপক্ষে যথার্থ প্রমাণ দিতে হবে। নুতবা আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায়বিচার চাইবো, আইনের আশ্রয় চাইবো। অামার সম্পর্কে অযাচিত ভাষা ব্যবহার ও পরোক্ষ ভাবে হত্যার হুমকির স্ক্রিনশট দেওয়া হলো। আমি বাংলাদেশ অাইসিটি এ্যাক্ট অথবা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অথবা সংশ্লিষ্ট আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক আইনের আশ্রয় চাইবো। অামি অামার কর্তৃপক্ষের ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কথা বলে এই ব্যাপারে খুব দ্রুতই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো। অামাকে নিয়ে ফেইসবুক তাদের ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও পৃষ্ঠপোষকদের ফেইসবুকে যে মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া লিখা প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে তা প্রমাণ স্বরুপ ডকুমেন্ট অাছে।
অাজ ২৭/০৭/২০২০ তারিখে দুটি সংবাদে অামার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অামি নাকি বেরোবির ছাত্রদের পতিতা, হকার বলেছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
Leave a Reply