অব্যাহত লোকসান ও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া আদায় না হওয়ায় কোরবানি পরবর্তী চামড়ার ব্যবসা নিয়ে শঙ্কিত যশোরের ব্যবসায়ীরা। এজন্য কেবল ট্যানারি মালিক নয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও ঋণ সুবিধা দেয়া এবং কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নেয়ার দাবি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নেতাদের।
যশোরের রাজারহাট দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার হাট। এ হাটে যশোরসহ খুলনার বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, ঈশ্বরদী নাটোরের বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচা-কেনা করেন।
কয়েক বছর ধরে চামড়ার টানা দরপতন ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া থাকা প্রায় ১২ কোটি টাকা আদায় না হওয়ায় চরম দুরবস্থায় এ হাটের ব্যবসায়ীরা। হাটের বেশিরভাগ আড়তই বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, অব্যাহত লোকসান ও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া আদায় না হওয়ায় কোরবানি পরবর্তী চামড়ার ব্যবসা নিয়ে শঙ্কিত তারা।ব্যবসায়ীরা বলছেন, নীতি নির্ধারণের দুর্বলতার কারণে চামড়ার বাজারের দুরবস্থা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বৃহত্তর যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল।চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির দেয়া তথ্য মতে, এ হাটকে ঘিরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার ছোট বড় ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন।আর ঈদ পরবর্তী হাটগুলোতে প্রায় শত কোটি টাকার চামড়ার ব্যবসা হয়।
Leave a Reply