”
সততা, আদর্শ-নীতি, পরিশ্রম ও আধুনিক চিন্তাধারার অনুসারী একজন ব্যক্তির নাম মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা থেকে ২০০৮ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রংপুরের মানুষের দাবি ছিল নারী বেগম রোকেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক তাই তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে রূপান্তরিত করে নামকরণ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর করেন। শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই বিশ্ববিদ্যালয় যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার বাস্তব রূপ দিতে পারেন নি পূর্ববর্তী কোন উপচার্যই। চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। উপাচার্য তথা অভিভাবক হিসেবে যোগদানের পরপরই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি সমাপ্ত করেছেন-
১। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আইডি কার্ড প্রবর্তন করেছেন।
২। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম ক্যাম্পাস রেডিও স্থাপন করেছেন।
৩। দায়িত্ব নেয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে লাইব্রেরী বিকেল পাঁচটার পরিবর্তে সাতটা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছেন।
৪। শিক্ষার্থীদের পরিবহন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন বাস ক্রয় করেছেন।
৫। নতুন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষ করার লক্ষ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।
৬। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতাভুক্ত করেছেন।
৭। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন।
৮। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্যাফেটেরিয়া চালু করেছেন।
৯। করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিক্ষকদের প্রমোশন সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
১০। প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে এনে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
১১। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের হলের সিট ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
১২। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে একরকম অচল হয়ে পড়া ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট কে পুনরায় সচল করেছেন। এখানে দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ অন্যান্য পেশাজীবী মানুষ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগন এমফিল এবং পিএইচডি করছেন।
১৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসন সংকট দূর করতে ছাত্রীহল নির্মাণ সহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে গতি ফিরিয়ে এনেছেন।
১৪। সেশনজট নিরসনের উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
১৫। ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং নির্মাণ ভবন নির্মাণ কাজ চলমান, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ চলমান, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, যানবাহনের গ্যারেজ স্থাপন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসস্থল নির্মাণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালু সহ আরো বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা করেছেন এবং সেগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে অনুমোদন হয়ে গেছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী হিসেবে বিশ্বাস করি যে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এর নেতৃত্বে আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।
মোঃ আসাদুল হক
মেশিন অপারেটর
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply