ফারজানা আক্তার
কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার কান্দিগ্রামের চড়তো(কাঠালতলী)এলাকায় জুয়ারী স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভীযোগ পাওয়া গেছে।
অভীযোগ সূত্রে জানা যায়,৩আগষ্ট সকাল ৬.৩০ ঘটিকার সময় কান্দিগ্রামের চড়তো এলাকার রঙ্গু মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া(৩৫) তার স্ত্রী রেখা বেগম ওরফে টুক্কুনা বেগম(৩০) কে হত্যা করে।
জানা যায়, স্বপন মিয়া আগের রাতে ঘরে ফেরেনি,সারারাত জুয়ার আসরে ছিল।
এদিকে রেখা বেগম ভোর ৪টার দিকে তার কর্মস্থল জিয়া মিয়ার পোল্ট্রী খামারে গিয়ে মুরগিকে খাবার দিয়ে সকাল হলে ঘরে এসেও স্বামীকে ঘরে আসতে না দেখে ৬ টার দিকে স্বামীকে ডাকতে যান এবং কান্দিগ্রাম দক্ষিনপাড়া হাকিয়া বেগমের ঘরে জুয়ার আড্ডাখানা থেকে ডেকে আনার জন্য স্বামী স্বপন মিয়া রেখাকে মারতে মারতে বাড়ি নিয়ে আসে।রাস্তায় লোকেরা প্রতিবাদ করলে “আজকা এইরে দমে মাইরা নাস্তা খায়াম “উত্তর দেয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
স্বপন মিয়ার মা জানায় সকালে স্বপন রেখাকে জুয়ার আড্ডা থেকে ডেকে আনলে তাদের ঝগড়া হয়,রেখাও স্বপনকে বকবাজি করে শুনে আমি বলি “বহুক, তবো যেন এ ফজির অ”।একটু পরে রেখাকে মৃত নিয়ে আসলে আমি আমার ছেলেকে চড়-থাপ্পর মেরে শাসন করি একি করলি তুই?
রেখা বেগমের পাশের রুমের ভাড়াটিয়া সবুজ খাঁ(৬০) ও তার স্ত্রী মরিয়মনেছা(৫৫) বলেন, আমরা আজ ঘুম থেকে ওঠতে দেরি হলে কিছুই বলতে পারিনা।তবে ঘুম থেকে ওঠে দেখি স্বপন রেখাকে নিয়ে মেডিক্যাল যাইতেছে এবং স্বপন বলতেছে রেখা বিশ খেয়েছে।অথচ রেখার বিশ খাওয়ার কোনো লক্ষন বা গন্ধ আমাদের কাছে লাগেনি।প্রায় আাধা ঘন্টা পরেই রেখাকে মৃত নিয়ে আসে।তিনি আরও বলেন,এভাবে সে প্রায়ই রেখাকে মারপিঠ করত,ঘরে থালা দিয়ে রাখত।কয়েকদিন আগে স্বপন রেখাকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করলে আমি বাধা দিয়ে রেখাকে রক্ষা করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানায় সকালের দিকে রেখা নামে একজন মহিলাকে তার স্বামী হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং বিশ খেয়েছে বলে জানায়। রোগির অবস্থা খারাপ দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
ভাগলপুল মেডিক্যালে সূত্রে জানায় এরকম কোনো রোগী আমাদের এখানে আসেনি।অতএব ভাগলপুর মেডিক্যাল নেওয়ার আগেই রেখা মারা যায়।
এ ব্যপারে,রেখার বড় ভাই আবু তাহের বাদি হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-৩
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন,আমরা আসামী স্বপন মিয়াকে ধরেছি।সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী জানায়,জুয়ার সূত্র ধরেই আজকের এই ঘটনা।আর এই জুয়ার আড্ডাখানা হচ্ছে কান্দিগ্রাম দক্ষিনপাড়ার মৃত রেহমান মিয়ার স্ত্রী হাকিয়া বেগমের ঘরে।হাকিয়া বেগমের ছেলে জাহাঙ্গির আলম ও রাজু মিয়ার নেতৃত্বে এ আড্ডা চলে সারারাত।এবং হাকিয়া বেগমের ছেলে মালেক মিয়া হিজরা ব্যবসা করে বলে জানায়।মালেক মিয়া দুইটা বিয়ে করেছে,সন্তানের বাবাও হয়েছে।অথচ সে হিজরা সেজে চাদাবাজি করে বেড়ায়।
Leave a Reply