মোঃ আনোয়ার (চট্রগ্রাম) বাঁশখালী প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাগমারা অলি শাহ্ রহঃ সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক এম.পি.ও ভুক্তির সুপার ও সহ সুপার নিয়োগে দূর্নীতি ও জালিয়াতি করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্হানীয় সুত্রে জানা যায় বর্তমান মাদ্রাসা কমিটির উচ্ছ পদদারী কিছু সদস্য মোটা অংকের আর্থিক লাভের জন্য সুপার ও সহ-সুপার সহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুপূর্ণ পদে নিবন্ধন বিহীন অযোগ্য শিক্ষক এম.পিও ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র রাতারাতি জালিয়াতি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন বলে জানা যায়।
বর্তমানে এম পি.ও ভুক্ত সুপার হিসেবে প্রক্রিয়াধীন মোহাম্মদ ইউনুচ কাদেরী ২০১২ সালের পহেলা অক্টোবর ভূয়া নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।২বছর দায়িত্ব পালনের পর তার নিবন্ধন সনদ জাল এবং ব্যাপক দূর্নীতি প্রকাশ হলে ০১-০৬-২০১৫ ইংরেজি অভিযোগ এডানোর জন্য ব্যাক্তিগত অসুবিধা দেখিয়ে সুপার পদ থেকে পদত্যাগ করে চলে যান। অপরদিকে সহ সুপার পদটি ২০১০সাল থেকে শূন্য থাকে এমন অবস্হায় কমিটি ঐক্যমত হন যে, যেহেতু মাদ্রাসা এমপি.ও ভুক্তির পূর্বে যোগ্য ও অভিজ্ঞ সুপার-সহ সুপার পাওয়া যাচ্ছেনা, তাই এমপি.ও ভুক্তি হওয়া পর্যন্ত ভারপাপ্ত সুপার ও সহ সুপার দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করা হয়। পরবর্তী এমপি.ও ভুক্তির পর যোগ্য ও অভিঙ্গ সুপার সহ সুপার নিয়োগ করা হবে। এ অবস্হায় বর্তমানে মাদ্রসাটি যখন এমপি.ও ভুক্ত হয় কয়েকজন কমিটির সদস্য বিভিন্ন কৌশলে ম্যানেজ করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে জাল নিবন্ধন সনদধারী ও পদত্যাগকারী মোহাম্মদ ইউনুচ কাদেরী কে সুপার পদে এবং নিবন্ধন বিহীন নুরুল আলমকে সহ সুপার পদে নিয়োগ দেখানোর জন্য রাতারাতি ২০০৪সাল হতে কর্মরত দেখিয়ে রেজুলেশন বা অনান্য কাগজপত্র জালিয়াতি করে এমপি.ও ভুক্তির জন্য আবেদনপত্র পাঠান।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্হানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়।এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি অভিযোগ সংশিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দায়ের করা হয়েছে। বাঁশখালী স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি কে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি যথাযথ তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপা্রিশ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন জনসাধারণকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মিকার মনসুর,দেলোয়ার এবং নুর হোসেন সওদাগর বলেন বর্তমানে যিনি সুপার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত আছেন তার বিভিন্ন সার্টিফিকেট জালিয়াতি সহ অযোগ্য হওয়ায় তিনি ২০১৫ সালে সুপার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এবং যিনি বর্তমানে সহ সুপার হিসেবে নিয়োগ হয়েছেন মাওলানা নুরুল আলম তাকে আমরা বিগত ১০বছরে কখনো মাদ্রাসায় দেখিনি। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার জনসারধারণ বলেন দীর্ঘদিন পরে মাদ্রাসাটি এম.পি.ও ভুক্ত হওয়ায় উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ হবে আশা করি, কিন্তু অনিয়ম করে বর্তমানে সুপার ও সহ সুপার নিয়োগে নিবন্ধন সনদ জাল করে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়, এ বিষয়ে এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করেন।এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমান মহিলা অভিভাবক সদস্যের স্বামী মুহাম্মদ নুর হোসেন বলেন ২০০৪ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রত্যেক সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম এবং ২০০৪সালে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক সিকদারকে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি প্রায় আট বছর সুপারের দায়িত্ব পালনের পর ধার্যকৃত বেতন ভাতা না পওয়ায় দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন।
অতঃপর অক্টোবর ২০১২ ইংরেজী হতে মোহাম্মদ ইউনুচ কাদেরী দায়িত্ব পালন করেন এবং তার নিবন্ধন না থাকায় নিয়োগ বিধি মোতাবেক করা যায়নি, তার ব্যাপক দূর্নীতি ফাঁস হওয়ায় ০১-০৬-২০১৫ ইংরেজি তারিখে তিনি পদত্যাগ করে চলে যান, অতঃপর মামুনুর রশীদ কে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।কিন্তু মামুনুর রশীদ যোগদান করেননি ফলে পদ দুটি খালি রয়ে যায়।
এমনঅবস্হায় কমিটি ঐক্যমত হন যে, যেহেতু মাদ্রাসা এমপি.ও ভুক্তির পূর্বে যোগ্য ও অভিঙ্গ সুপার-সহ সুপার পাওয়া যাচ্ছেনা, তাই এমপি.ও ভুক্তি পর্যন্ত ভারপাপ্ত সুপার সহ সুপার দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করা হবে। মাদ্রাসা এমপি.ও ভুক্তির পর যোগ্য ও অভিঙ্গ সুপার সহ সুপার নিয়োগ করা হবে বলে সাবাই একমত হন বলে জানান তিনি। এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মওলানা ইউনুছ কাদেরী বিষয়টি অশিকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তবে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মাদ্রসা ছাত্রদের এডমিট কার্ডে সুপার হিসাবে মামুনুর রশিদের সাক্ষর দেখা যায়। অভিযগ পত্রে স্হানীয় সংসদসদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির সুপা্রিশ দেখা যায়। অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু সুফিয়ান সত্যতা নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply