আব্দুল্লাহ আল হাসিব, বরিশাল থেকে : বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল লাইনে জটিলতা দেখা দেয়ায় ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা। রোববার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসসিসিএ বলছে, কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত সিমিউই-৫ সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাত ৯টার আগ পর্যন্ত এই গতি স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ নেই।
বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আজ দুপুরে পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র সিমিউই-৪ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সচল রাখা হয়েছে। স্যাটেলাইটের সক্ষমতা কম থাকায় পুরোপুরি ব্যাকআপ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেবল লাইনে মেরামতের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও আইআইজি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণেই ইন্টারনেটের গতি ধীর।”
এমনিতে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথের বেশি এ কেবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট গেইটওয়ে বা আইআইজি গুলো পেয়ে থাকে। এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরাও কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন বলে জানান সুমন।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।
দ্বিতীয় এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পায় বাংলাদেশ।
সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হয়ে থাকে যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সরবারহ করে থাকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল।
Leave a Reply