মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম উলিপুর(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমে গেলেও নদী ভাঙ্গন রয়েছে অব্যাহত। প্রতিবছর নদীর এই তীব্র ভাঙ্গনের শিকার হয়ে থাকেন উলিপুরের তিস্তা পাড়ের লোকজন। নদীর পানি কিছুটা কমে যাওয়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদীর তীব্রভাঙ্গন। নদীর এই তীব্র ভাঙ্গনের ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিস্তা নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
কিন্তুু নদীর পানি কিছুটা কমে গেলেও নদী ভাঙ্গন রয়েছে অব্যাহত। এমতাবস্থায় তাদের আশ্রয়ের ভিটেমাটিও তিস্তা নদীর বুকে হারিয়ে মানবেতর জীবন জাপন করছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।
নদীর এই তীব্র ভাঙ্গনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষকের ফসলি জমি, ঘড়বাড়ি সহ সরকারি নানান স্থাপনা।
নদী ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ,মন্দির এবং সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন এবং থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার, থেতরাই পাকার মাথা সহ হোকডাঙ্গা দালাল পাড়া,পাটোয়ারি পাড়ায় দেখা যায় নদীর তীব্র ভাঙ্গন।
নদী ভাঙ্গনের শিকার দোকানদার আব্দুল আজিজের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ পর্যন্ত ২ বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। একই এলাকার ওমর ফারুক নামে আরো একজন জানান,যত দ্রুত সম্ভব নদীভাঙ্গন এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে নদীভাঙ্গন রোধ করা না গেলে তাহলে আরো অনেক পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হবে। সে আরো বলেন, আগুনে পুড়িয়ে গেলেও ভিটেমাটি টুকু রয়ে যায়,কিন্তুু নদী ভাঙ্গনের ফলে সেই ভিটেমাটি টুকুও চলে যায় নদী গর্ভে।
নদীভাঙ্গনের স্থায়ী সমাধান চান নদীতীরবর্তী মানুষেরা।
নদীভাঙ্গনের এই দুঃসময়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন কন্ট্রাকটার আতাউর রহমান। তিনি বলেন, নদীভাঙ্গন কবলিত মানুষদের বিত্তবান লোকদেরো সাহায্য করা দরকার বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন,নদীভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়নবোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়নবোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে সাময়িক এই ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙ্গন রোধ করা হবে। তিনি আরো বলেন, স্থায়ী নদীভাঙ্গন রোধে মন্ত্রনালয়ে তথ্য প্রেরন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply