খাদেমুল ইসলাম রাজ
বীরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মদাতী নন্দাইগাঁও গ্রামের ৭ টি বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। মাঠের অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয় না।
টিফিন কিংবা অন্য বিরতির সময় তারা শ্রেণিকক্ষে বসেই সময় পার করে। উপজেলা থেকে উত্তরে ১৭কিলোমিটার দূরে ৮নং মদাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি ৬টি কক্ষ পাকা ভবন আছে, কিন্তু খেলার মাঠ নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক ছাত্র জানান ‘অন্য স্কুলে খেলার মাঠ আছে। আমাদের স্কুলে নাই। মাঠ না থাকায় খেলা করিবার পাই না। টিফিন হইলে ক্লাসে বসি থাকি।’ মুন্না ইসলাম (২০) জানান হামার খেলার জায়গা নাই, খেলমো কোনটে’ খেলতে গেলে যেতে হবে ৭ কিলোমিটার দূরে প্রতিদিন তো যাওয়ার সম্ভব না,আর বর্তমান করোনার মধ্যে। সরজমিনে আজকে বিদ্যালয়ের ছোট মাঠে এসে দেখা যায় কিছু ছেলে মাঠের মধ্যে ফুটবল এবং বারান্দায় ক্রিকেট খেলতেছে এবং বল মাঠের বাইরে যাওয়ায় ছেলেদের নানান অশালীন ভাষায় বকাঝকা করতে ছে এক মহিলা। সাথে সাথে ছেলেরা মাঠ থেকে চলে যায়,আর মাঠের পাশের বাড়ির মেহির ইসলাম (১৯)জানান আমার ১৫-১৭টা বল নিয়ে নিছে ঐ মহিলা। ২নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের,বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো রিশাত ইসলাম বলেন,দেশকে মাদক মুক্ত করতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। আরও বলেন সরকারের একার পক্ষে জায়গা কিনে মাঠ তৈরি করা সম্ভব হবে না। তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের খাস জায়গাগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লিজ বা বন্দোবস্ত না দিয়ে বিদ্যালয়গুলোর মাঠ তৈরির ব্যবস্থা নিলে ছোটবেলা থেকেই ছেলে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সম্ভব। মদাতী নন্দাইগাঁও নয়, দেশের সর্বত্র খেলাধুলা ও শারীরিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠ দরকার। তিনি আরও বলেন খাস জায়গা গুলো মাঠ করে দিলে ছেলেরা খেলাধুলা’র প্রতি আগ্রহ থাকবে এবং মাদক থেকে দূরে থাকবে, আর বিষয়টি ইউএনও অফিসার কে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন।
Leave a Reply