করোনায় সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ। তাদের মধ্যে আরো ব্যাপক আর্থিক সংকটে গ্রামীণ ফেরিওয়ালা। পর্যাপ্ত সহায়তা কর্মসূচি না নেওয়া এই ধরনের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ক্ষুদ্র ভ্রাম্যমান গ্রামীণ ফেরিওয়ালা সুবিধার বাহিরে রয়েগেছে।এই ধরনের গ্রামীণ ফেরিওয়ালা গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়ালেও বেচা বিক্রি নেই আগের মত।কিভাবে চলবে এই পেশার মানুষজনের সংসার। এই রকম গ্রামীণ ফেরিওয়ালা পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের প্রত্যেকের চোখে মুখেই অন্ধকার।করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ব্যাপারটি তাদের কাছে তুচ্ছ ব্যাপার।কেননা, প্রত্যেকদিন যাদের গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন পন্যদ্রব্য ফেরিকরে খেতে হয়, তারা এখন কিভাবে চলবে।এছাড়া অনেক গ্রামে এখনও গ্রামীণ ফেরিওয়ালাদের প্রবেশে রয়েছে নিষেধাঙ্গা।এই রকম পরিস্থিতে তাদের এই ভ্রাম্যমান ক্ষুদ্র ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেন্জ।অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এই গ্রামীণ ফেরিওয়ালা সম্প্রদায়ের পারিবারিক অবস্থা খুবই নাজুক, কেননা তাদের আয়ের উৎস প্রায় বন্ধ হয়ে আছে।তাদের এই সময়ে একটাই চাওয়া কবে স্বাভাবিক হবে সব কিছু,কবে আবার বেচা বিক্রি হবে আগের মত।সারা বাংলাদেশে এই ধরনের গ্রামীণ ফেরিওয়ালা পেশায় প্রায় ২৫ লাখ লোক নিয়োজিত রয়েছে।করোনাকালে তাদের দিকেও যথাযত কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। করোনাকালে সরকারি সহায়তার সুষম বন্টন না হলে প্রত্যাশিত সামগ্রিক উন্নয় অর্জন ব্যাহত হবে।
মো: খোরশেদ আলম
পি এ টু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
Leave a Reply