ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় নব বধুকে চুরিকাঘাত করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে।
জানা গেছে, বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় নববধূকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুড়বাড়িতে যাওয়ার পথে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
সম্প্রতি বিয়ে হওয়া ওই নববধূর নাম শিরিনা আক্তার (২৩)। শিরিনা হরিপুর ইউনিয়নের জারুয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার বড়বাড়ির রেনু মিয়ার মেয়ে।
শুক্রবার পারিবারিকভাবে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের সমুজ আলীর ছেলে পলাশের সঙ্গে শিরিনার বিয়ে হয়। শিরিনার পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আলীয়ারা পশ্চিমপাড়ার জজ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে শিরিনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এক পর্যায়ে শিরিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সুমন। কিন্তু শিরিনা ও তাঁর পরিবার বখাটে সুমনের প্রস্তাবে সম্মত হননি। শুক্রবার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ পলাশের সঙ্গে শিরিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পলাশ স্ত্রী শিরিনাকে নিয়ে নিজের বাড়ি মাধবপুর উপজেলার খিলগাঁও চলে যান।
শনিবার বউভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি হরিপুর আসেন। দুই দিন থেকে সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে স্ত্রী শিরিনাকে নিয়ে মাধবপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন পলাশ।
পরে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের মিলনপুর তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে সুমন। সে সময় সুমন নবদম্পতির উপর হামলা চালায়। সুমন এক পর্যায়ে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নববধূ শিরিনাকে বুকের বাম পাশে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আহত শিরিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক জানায়, এ ঘটনায় থানা একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply