রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর থেকে : রংপুর গঙ্গাচড়া লহ্মীটারী ইউনিয়নের এসকেএস বাজার দিয়ে তিস্তার নতুন চ্যানেল তৈরী হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে রংপুর-লালমনিরহাট সড়কের এলজিইডি’র একটি ব্রীজের নিচে ব্লক-পিচিংয়ে ধ্বস নেমেছে। এতে করে যে কোন সময় তিস্তার পানির তোড়ে ব্রীজসহ সংযোগ সড়ক ধ্বসে যাওয়ার আশংঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তিস্তা নদীর বামতীরে বাঁধের দাবীতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ দফা বন্যায় তিস্তা নদী আগ্রাসী রুপের কারণে আরেকটি নতুন চ্যানেলে তিস্তার পানি প্রবাহিত হয়। এতে করে লহ্মীটারী ইউনিয়নে পশ্চিম চর শংকরদহ গ্রামের সাড়ে ৫’শ ঘর-বাড়ি, কাঁচা রাস্তা, গাছপালা, ফসলী ক্ষেত, গুচ্ছগ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
সোমবার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার নতুন চ্যানেল তৈরী হয়ে এসকেএস বাজারের ব্রীজটি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে ব্রীজের নিচে ব্লক-পিচিং ধ্বসে যাচ্ছে। এনিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এসকেএস বাজারে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ সহ্রসাধিক নারী-পুরুষ। তারা গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুসহ সংযোগ সড়ক ও লহ্মীটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহ, পূর্ব ইচলী, পশ্চিম ইচলী, সিরাজুল মার্কেট, জয়রামওঝা, চর ইশোরকোল গ্রাম রক্ষাসহ ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার্থে শেখ হাসিনা সেতুর উজান থেকে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা পর্যন্ত তিস্তার বামীতের দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবী জানান।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, লহ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হাদী, সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল হোসেন আশরাফী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীসহ ক্ষতিগ্রস্থরা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে ২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে তিস্তার হাত থেকে ব্রীজ রক্ষায় চেষ্টা চালানো হয়েছে। এসকেএস বাজার পরিদর্শন করেছেন, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
লহ্মীটারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হাদী বলেন, এবার বন্যায় পশ্চিম শংকদহ গ্রাম বিলীনসহ মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালর্ভাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অবিলম্বে বামতীরে বাঁধ নির্মানসহ তিস্তা নদী খনন করা না হলে নদী যেদিক পাবে সেদিক প্রবাহিত হবে। ফলে তিস্তা আরও ভয়ংকর রুপ নেবে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এসকেএস বাজারের এলজিইডি’র একটি ব্রীজের ব্লক-পিচিং ধ্বসে গেছে। ভাঙ্গন রোধে আমরা এলজিইডিকে ২’শ জিও ব্যাগ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এছাড়া তিস্তা নদী নিয়ে মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে আমরা স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
Leave a Reply