1. admin@lalsabujerdesh.com : ডেস্ক :
  2. lalsabujerdeshbd@gmail.com : Sohel Ahmed : Sohel Ahmed
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বঙ্গবন্ধু বাঙালি চেতনার এক অনন্য প্রতিষ্ঠানের নাম: ড.কলিমউল্লাহ আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন নামধারী সাংবাদিক ও ২৪ জন অসাংবাদিক সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা। নিহত সেনা সদস্য নাজিম উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চার বছরের কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে (৫৫) বছরের বৃদ্ধা আটক সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বীর শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি বঙ্গবন্ধু : ড.কলিমউল্লাহ খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১ মার্চ মাস থেকেই কার্যকর আজ বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের কর্মসূচী কবি এস.পি.সেবু ভৈরবের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক আব্দুল হালিম

৮ মাসে মারা গেছেন ৮ এমপি, সংসদে জানাজা হয়নি ৫ জনের

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০
  • ১৭৬ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমান সংসদের সময় সংসদ সদস্য মারা যাওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৩০ ডিসেম্বর) পর এ পর্যন্ত ১৩ সংসদ সদস্য মারা গেছেন। অথচ গত সংসদের পাঁচ বছরে বিভিন্ন দলের ১৫ সংসদ সদস্য মারা যান। চলতি সংসদে সাবেক এক মন্ত্রীসহ দুইজন করোনায় মারা গেছেন। তবে করোনাকাল হওয়ায় পাঁচ এমপির সংসদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়নি।

জানা গেছে, গত বছর মারা গেছেন পাঁচজন সংসদ সদস্য। আর চলতি বছরের আট মাসে মারা গেছেন আরও আটজন। মারা যাওয়া দুইজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।

সংসদের আইন শাখা-২ সূত্র জানায়, নির্বাচনের ঠিক পরই আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১) মারা যান। তিনি সংসদের একটি অধিবেশনেও যোগ দিতে পারেনি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মারা যান তিনি। এমনকি এমপি হিসেবে শপথও নিতে পারেননি সৈয়দ আশরাফ। তবে এমপি হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
একই বছরের ৯ জুলাই আওয়ামী লীগের রুশেমা বেগম (মহিলা আসন-৩৪), ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টি প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ (রংপুর-৩) মারা যান।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তার সহধর্মিণী রওশন এরশাদ আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

ওই বছরের ৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮), ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের মো. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩) মারা যান।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি মারা যান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪), ১৮ জানুয়ারি আব্দুল মান্নান (বগুড়া-১), ২১ জানুয়ারি ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), ২ এপ্রিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ (পাবনা-৪), ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লা (ঢাকা-৫), করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জুন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ১০ জুলাই সাবেক স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮) ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ জুলাই ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬) মারা যান।

চলতি বছরের জানুয়ারির পর মারা যাওয়া কারোরই রীতি অনুযায়ী সংসদ ভবনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়নি। অথচ কোনো স্ট্যান্ডিং এমপি মারা গেলে সংসদে অনুষ্ঠিত জানাজায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ছাড়াও নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধা হলে পান গার্ড অব অর্নার। জানাজায় সহকর্মীরা ছাড়াও সংসদে কর্মরত ও আশপাশের এলাকায় বসবাসকারীরা অংশ নেন। কিন্তু শেষ পাঁচজন এমপির ভাগ্যে এসব জোটেনি।
দলের একের পর এক এমপি মারা যাওয়ায় জুনে সংসদে অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব দুঃখজনক… আসলে আমার জন্য খুব কষ্টকর হচ্ছে বলতে, এভাবে সবাইকে হারানো খুবই দুঃখজনক।’
প্রাণঘাতী করোনার আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ (এমপি নন) মারা যাওয়ায় সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বার বার চোখ মুছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিগত সংসদে যে ১৫ সংসদ সদস্যের মৃত্যু
বিগত দশম সংসদের পাঁচ বছরে দুজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও একজন বিরোধীদলীয় হুইপসহ ১৫ সংসদ সদস্য মারা যান। তাদের মধ্যে ১২ জন আওয়ামী লীগের এবং তিনজন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে এক সংসদ সদস্যকে। এছাড়া ওই একই আসনে মারা গেছেন দুই সংসদ সদস্য।
দশম সংসদের ২৩তম অধিবশন শুরুর দিন উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের বই এবং সংসদ লাইব্রেরিতে রাখা সংসদের কার্যপ্রবাহ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সংসদের আইন শাখা-২ সূত্রে জানা যায়, দশম সংসদ হারিয়েছে সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ও বিশিষ্ট তার্কিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি এক সময় রেলমন্ত্রীও ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দ মহসিন আলী (মৌলভীবাজার-৩), মোহাম্মদ ছায়েদুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১) এবং প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন (ময়মনসিংহ-১)।
প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ কুড়িগ্রাম-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে হারায় এ সংসদ। মারা যাওয়া আওয়ামী লীগের অন্য এমপিদের মধ্যে রয়েছেন গাইবান্ধা-১ আসনের মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ২০১৬ সালের শেষ প্রহরে নিজ বাড়িতে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয। ওই আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন একই দলের গোলাম মোস্তফা আহমদ। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের মো. ইসহাক হোসেন তালুকদার, মাগুরা-১ আসনের মোহাম্মদ সিরাজুল আকবর, খুলনা-৪ আসনের এস এম মোস্তফা রশদি, বরিশাল-৫ আসনের মো. শওকত হোসেন, টাঙ্গাইল-৮ আসনের শওকত মোমেন শাহজাহান, ময়মনসিংহ-৩ আসনের মজিবুর রহমান ফকির ইন্তেকাল করেন।
জাতীয় পার্টির কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এ কে এম মাঈদুল ইসলাম এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মো. নাসিম ওসমান মারা যান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..