”
কর্মমুখী জনসংখ্যার অভাবে উন্নত দেশের সরকার যখন চিন্তিত তখন বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবক। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে সুুযোগ রয়েছে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার।২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত করতে হলে এই স্বল্প সময়ে দ্রুত গ্রামীণ যুব সমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে দক্ষতার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। মাথাপিছু আয় ২০০০ মার্কিন ডলারে উন্নতি হয়েছে( সূত্র: প্রথম আলো)।১০০টি বিশেষ অর্থ নৈতিক অঞ্চলকে শীঘ্রই আরো ব্যাপক ভাবে উৎপাদনে যেতে হবে।শুধু শহর নয় গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন হলে অর্থনৈতিক সফলতা আসবে। এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।জিডিপিতে সিংহভাগ গ্রামীণ যুব সমাজের সম্পৃক্ততায় এস এম ই খাতের অবদান ২৫ শতাংশ। এই সরকার এই খাতের অবদানকে ৩২ শতাংশে উন্নতি করনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এর নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য কাজ করতে হবে গ্রামীণ যুব সমাজকে।পাশাপাশি বাজারজাতকরণের কাজ চালিয়ে যেতে হবে , কেননা উৎপাদিত পণ্য-দ্রব্য ঘরে গুদামজাত করলে চলবে না। ক্রেতার চাহিদা বিশ্লেষন করে গবেষনার কাজেও গ্রামীণ যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে যথাযত ভাবে।প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান অর্জন করে গ্রামীণ যুব সমাজকে ডিজিটাল ভাবে বিশ্ববাজার সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।এই যুবসমাজের সুযোগ রয়েছে বিনা জামানতে দেশের কর্মসংস্থান ব্যাংক ও কিছু এনজিও হতে ঋণগ্রহনের।১৯৭১ সালের নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ করে যুব সমাজ এনে দিয়েছে স্বাধীনতার মুক্তি, তাদেরই প্রজন্ম বর্তমানের গ্রামীণ যুব সমাজ এই দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেওয়াও সম্ভব।গ্রামীণ যুব সমাজ সহ দেশের সামগ্রিক যুব সমাজ দেশের উন্নয়নের প্রাণ ও দেশের অগ্রযাত্রার মূলচালিকা শক্তি। গ্রামীণ যুব সমাজকে মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে বের হয়ে নিজের যে মেধা ও কর্মশক্তি রয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে, নিজের পরিবারকে অর্থনৈতিক মুক্তি দ্বারা দেশের সকলের অর্থনৈতিক মুক্তি আনোয়ন সম্ভব। গ্রামীণ এই যুব সমাজ দ্বারা জ্ঞানভিত্তিক শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সরকারি ও বে-সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা রয়েছে নানা রকম উদ্যোগ ।গ্রামীণ যুবসমাজ এই উদ্যোগ সমূহে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে হবে।সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানেও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে গ্রামীণ যুব সমাজ প্রথম সারির কারিগর হিসাবে অগ্রনীভূকিায় থাকবে এই প্রত্যাশা দেশের প্রতিটি নাগরিকের।
বিশেষ প্রতিনিধি, জনাব মো:খোরশেদ আলম,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ও প্রাক্তন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,সাভার,ঢাকা।
Leave a Reply