স্টাফ রির্পোটার: ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা ও মহানগর কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। আজ বিকাল ৩টায় সিলেট নগরীর তালতলাস্থ রহমানিয়া সুপার মার্কেটের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত উক্ত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগরের সভাপতি ডাক্তার নজরুল ইসলাম ফারুকী।
সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল হালিম সাগর’র পরিচালনায় উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খাঁন, বিশেষ অথিতি ছিলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জগলু চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এড.আব্বাস উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান শাহেদ গাজী।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে এড. নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় শোক দিবস শুধু শোকের নয়, শপথেরও। রক্তঝরা ১৫ আগস্ট আগামী কাল শনিবার, বেদনাবিধুর ও কলঙ্কের কালিমায় কলুষিত বিভীষিকাময় ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর দিন। স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের আজকের অনুষ্টানে থেকে একটি কথা স্পষ্ট বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু সকল খুনিদের বিচার দ্রæত কার্যকর করা হবে। যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন, তাদেরকে দেশে এনে দ্রæত বিচার কার্যক্রর করতে সরকারের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানান। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট ঢাকার ৩২ নম্বরের সেই বাড়িতে, আমাদের ইতিহাস তীর্থে, হত্যা করা হয়েছিল কেবল তাঁর নশ্বর শরীরকে, কিন্তু তাঁর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী যা আজও আমরা লালন করি। বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যমজ শব্দ, এতো সহজেই কি মোছা যায় জনকের নাম। গভির শ্রদ্ধার সাথে জাতি তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করছে। সে দিন বিদেশে থাকার জন্য প্রাণে বেঁচে যান কেবল বঙ্গবন্ধু দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ২০১০ সালের শুরুতেই ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে মানবতার শত্রæ নরপিশাচ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচ খুনীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছে। এবারের শোক দিবসের সর্বত্র একই আওয়াজ শুধু খুনী নয়, নেপথ্যের কুশিলবদেরও দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হবে।
অনুষ্টানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যেকালে, আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে একটি কলঙ্ক অধ্যায়ের সূচনা করে। এই আগষ্ট মাসে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বোমা হামলা করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের প্রায় ২৩ জন নেতাকর্মীকে। সেদিনও প্রাণে বেঁেচ যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনো শত শত নেতাকর্মী সেই বোমার স্প্রিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০০৪ সালে সিলেটের গুলশান সেন্টারে আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা করে হত্যা করা হয় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম আলীকে। আমরা সকল নেতাকর্মীর প্রতি গভির শ্রদ্ধা নিবেদনসহ, তাদের আত্মার মাহফেরাত কামনা করছি।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যেকালে জগলু চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট, ২০০৭ সালের ২১ আগষ্ট, ২০০৪ সালে ৭ আগষ্টসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর উপর পরিকল্পিত বোমা হামলার বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। বিচার শুরু কয়ে গেছে, বিদেশে পালিয়ে যারা আছেন তাদেরকে ধরে নিয়ে এসে এ বাংলার মাটিতেই বিচার কার্যক্রর করা হবে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সেই সময়ও বসে নেই বিশ্বাসঘাতকের দল, যেকোন সময় তাদের মিশন বাস্তবায়ন করতে চাইবে। তাই দলীয় সকল নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
উক্ত অনুষ্টানে অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সভাপতি ডা. বাহার উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য স্যায়িদ আহমদ সুহেদ। অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও অনুষ্টানের শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ ময়ূনুল ইসলাম।
অনুষ্টানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্তিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি হেলাল আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম.এ রউফ, দপ্তর সম্পাদক কাওছার আহমদ খসরু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা বেগম হেনা, তথ্য ও গবেশনা বিষয়ক সম্পাদক গীতিকার রহমত আলী,
মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ময়জুর রহমান নোমান, আরাফাত চৌধুরী আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ আহমদ বাপ্পি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কার্তিক পাল প্রমুখসহ জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।