বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান, পিএসসির সাবেক সদস্য ও সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ। ‘৭৫ এর ১৫ই আগস্টের পরে বরগুনা পটুয়াখালী থেকে রক্ষীবাহিনী নিয়ে ঢাকায় প্রতিরোধ সংগ্রাম, চাকুরীচূত হন। আবার চাকুরীতে ফিরে পান। এই একজন ব্যক্তি যার ইতিহাস তাকে অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে তুলে ধরেছে।
পাকিস্তান আমলের ইপিসিএস কর্মকর্তারা, সিএসপিরা দাপট দেখাতেন ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকে কিন্তু মাঠে দাপট দেখিয়েছিলেন এই একজন, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ।
,১৫,ই আগস্টেরবপরে অনেক আমলা-সচিবই কারাভোগ করেন, নানাভাবে অন্যায়ের শিকার হন। তাদের সঙ্গে সিরাজ উদ্দীন আহমেদের প্রতিবাদী চেতনা প্রখর ছিলো।
তিনি ঘরে বসে গ্রেফতার হন নি বরং হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন এবং তার যা কিছু ছিল, তাই নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন।
১৯৭৫ সালে বরগুনার মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সকাল সাড়ে ৮ টায় তার সরকারি বাসভবনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে প্রথম প্রতিবাদ সভা করেছিলেন।
প্রতিবাদ সভার পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বরগুনা শহরে প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিরাজ উদ্দীন আহমেদ।
বরগুনার তৎকালীন মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) ফারুক আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে বলেন, এ সরকার অবৈধ বাঙ্গালী জাতি মানবে না। এ সরকার মানি না।
সিরাজ উদ্দীন আহমেদের সরকারী বাসভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখেন। বরগুনার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
১৬ আগস্ট তার বাসভবনে আয়োজিত শোক সভায় বরগুনার বিভিন্ন পদে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেয়। এর মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু সারা দেশের আর কোথাও এ আন্দোলনের কোনো সমর্থন না পাওয়ায় এক সময় ভেঙে পড়ে সে আন্দোলন। পরবর্তীতে আন্দোলনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে নেতাকর্মীদের অনেককেই জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে।
Leave a Reply