“
২০০৮ সালের জীর্ণশীর্ণ বেরোবি, রংপুর যেন সত্যিই আর সেই বেরোবি, রংপুর নেই। এ যেন এক বিশাল জনবহুল, সবুজ বৃক্ষ, আকাশ চুম্বি অট্টালিকায় স্থাপিত স্বয়ং-সম্পূর্ণ , স্বনির্ভর এক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নানা সংকট ও সমস্যা জর্জরিত ছিল রংপুর অঞ্চলের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। পর পর তিনজন উপাচার্য স্যার পরিবর্তনের পরে চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে, ২০১৭ সালের ১৪ জুন এ যোগদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। তিনি যোগদানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।পূর্বে শিক্ষক নিয়োগ, উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অনাস্থা, ক্লাস বর্জন, উপাচার্যের ভবন ঘেরাওসহ নানা আন্দোলনের কারণে গণমাধ্যমে বারবার শিরোনাম হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
তবে নতুন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের নেতৃত্বে জীর্ণশীর্ণ বেরোবি, রংপুর নতুন উদ্যমে সেশনজট কাটিয়ে, গবেষণা ও নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে চলছে । তাই এই পর্যায়ে আমরা জানবো, জীর্ণশীর্ণ বেরোবি, রংপুর এর উন্নতিকে ঘিরে তাঁর গৃহীত উন্নয়নমূলক প্রজেক্টসমূহ।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে অবকাঠামোগত দু-এক দিকে উন্নয়ন হলেও ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোতে আসে আমূল পরিবর্তন। যে পরিবর্তন গুলো আমাদের প্রাণ প্রিয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের হাত দিয়েই ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন ৬টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়ায় একুশটিতে।
স্থাপত্য ও বিবিধ উন্নতি >>
১.বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কাজকে এগিয়ে নিতে স্থাপিত হচ্ছে দশ তলা ভবন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
২.মেয়েদের আবাসিক সমস্যা সমাধান করতে নির্মাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা হল।
৩.নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে অনেকদিন পড়ে থাকা ক্যাফেটেরিয়াকে উদ্ভোধন করেন প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার।
৪. ১০০% দাবি পূরণ হতে চলছে বেরোবি, রংপুর এর প্রধান ফটক নির্মাণ স্বার্থে। এই মর্মে উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বলেন শিক্ষার্থীদের একযুগের “প্রধান ফটক নির্মাণ” দাবি পূরণ হতে চলছে এই বছর , ইনশাআল্লাহ।
৫.করোনা কালীন সময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এ অধ্যায়নরত পারিবারিক ভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে এককালীন আর্থিক অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১০ মে ২০২০ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এই ব্যাপারে গুরুতবহ নির্দেশ দেন।
৬.করোনা কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফ করতে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
এছাড়াও উন্নতির দ্বার তাঁর হাত ধরেই উন্মোচিত হয়েছে।
তিঁনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ করার ঘোষণা দেন। শুধু ঘোষণা নয়, ঘোষণার সাথে সাথে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি বিভাগে আসন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারের মত নেগেটিভ মার্কিং চালু করে পূর্বঘোষিত ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’এর দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিতে ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় রাখার জন্য নিয়েছেন নানা উদ্যোগ। এর ধারাবাহিকতায় “বেগম রোকেয়া ও সাখাওয়াত হোসেন প্রমিলা ফুটবল টুর্নামেন্ট” এর আয়োজন করেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা পেয়েছে অসাধারণ সম্মাননা।
চালু করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর’এর কার্যক্রম। তিন প্লাটুন বিএনসিসি এর অনুমোদন দিয়ে পুরাদমে ট্রেনিং এর যাবতীয় সু-ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যেখানে ছেলেদের জন্য দুই প্লাটুন ও মেয়েদের জন্য এক প্লাটুন।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা দেখার জন্য ‘ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের’ পরিচালক ও সহকারী পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে যা সাবেক উপাচার্যদের সময় ছিলনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশকে সুন্দর, মনোরম ও সবুজ ক্যাম্পাস গড়ার জন্য ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যও কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যানবাহনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে গ্যারেজ ।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী হিসেবে বিশ্বাস করি যে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার এর নেতৃত্বে আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণশিখরে পৌঁছাবে। ইনশাআল্লাহ!
মোঃ নাজমুল হুদা
বাস হেলপার (পরিবহন পুল)
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
Leave a Reply