”
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর যখন বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ঠিক সেই সময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন (২০১৭ সালের ১৪ জুন) নিত্য নতুন চিন্তা-চেতনা ও ডিজিটাল মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। যোগদানের পর থেকেই তিনি একের পর এক তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনা দ্বারা কিভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কে বিশ্বমানের করা য়ায় সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্বারক স্বাক্ষর সেই চেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ। স্যারের দূরদর্শী কর্মস্পৃহার মাধ্যমে দিনরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে উন্নতির স্বর্ণশিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কে। পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর মাননীয় উপাচার্য স্যারের সহযোগীতায় পরিসংখ্যান বিভাগের প্রাণ কম্পিউটার ল্যাব মেরামতের কাজ সুসম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করা হয়েছে। তাছাড়া ল্যাবে ইন্টারনেট সংযোগের ফলে শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সহজে সংগ্রহ করতে পারছে এবং লেখাপড়ার ক্ষেত্রে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পরিসংখ্যান বিভাগ ছাড়াও ল্যাব সংশ্লিষ্ট প্রায় প্রতিটি বিভাগেই ল্যাব মেরামত অথবা নতুন ল্যাব সংযোজন করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নত করেছেন। অবাক করা বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম এর ব্যবস্থা করেছেন। এমন হাজারো শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করে চলেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। আশা করি স্যারের হাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার সমাধান হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্যতম প্রধান কাজ হলো গবেষণা, আর এই ধারণা থেকেই উপাচার্য মহোদয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে প্রায় ৫৪ টি জার্নালের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণাপত্র প্রকাশের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার ক্ষেত্রে এক অনন্য চূড়ায় নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে মিল বন্ধনসহ কিভাবে কাজের গতি বাড়ানো যায় তার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। মাননীয় উপাচার্য স্যারের সাথে কাজ করার সুবাদে শিখেছি কিভাবে দীর্ঘ সময় নিয়মানুবর্তিতার সাথে কাজ করতে হয়।
শত ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে যার পদচারণা তিনি হলেন বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। স্যার পর্যবেক্ষণ করেন বিভাগগুলোতে ঠিকমত কাজ হচ্ছে কিনা, শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা আছে কিনা ইত্যাদি। সেশনজট মুক্ত ও প্রযুক্তি নির্ভর একটি বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে কাজ করে চলেছেন মাননীয় উপাচার্য স্যার। যার ফলশ্রুতিতে বেশিরভাগ বিভাগ আজ সেশনজট মুক্ত। বর্তমানে পরিসংখ্যান বিভাগও অন্যতম সেশনজট মুক্ত একটি বিভাগ। এমনই অভিভাবকসুলভ ও বিশ্ববিদ্যালয় বান্ধব উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএসিসিও স্যার। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ এবং তাঁর হাত ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
লেখক
ড. মোঃ রশীদুল ইসলাম
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
পরিসংখ্যান বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply