আলাউদ্দিন হোসেন,পাবনা প্রতিনিধি : দূর্যোগ মুহুর্তে পাবনা মানসিক হাসপাতালের রোগীরা যাতে দ্রুত অক্সিজেন সেবা পেতে পারে সেজন্য একটি বহনযোগ্য অক্সিজেন কনসেনটেটর বিনা মূল্যে প্রদান করেছে পাবনার স্বনাম খ্যাত প্রতিষ্ঠান কিমিয়া বিশেষজ্ঞ সেন্টার। বুধবার(২৩ সেপ্টেম্বর)দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ও পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. তম্ময় প্রকাশ বিশ্বাস কনসেনটেটরটি বর্তমান পরিচালক ডা. এটিএম মোর্শেদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রফেসর বিশ্বাস বলেন, পাবনা মানসিক হাসপাতালে কর্মরত সময়ে দেখেছি জরুরী প্রয়োজনে অক্সিজেন না পেলে বিপাকে পড়তে হয়। সেজন্য দীর্ঘ কর্মকালীন জীবনে পাবনা মানসিক হাসপাতালের উপর আমার একটি দুর্বলতা রয়েছে। আমি সব সময়েই চেয়েছি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগীরা ভর্তি হলে তাদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অভিভাবকহীন এ রোগীদের হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই তাদের স্থানীয় অভিভাবকত্বের দ্বায়িত্ব পালন করে থাকেন। সেজন্য তাদের জরুরী স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনে এ কনসেনটেটরটি প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।
কিমিয়া বিশেষজ্ঞ সেন্টারের পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা জামাল শামীম জানান, এ কনসেনটেটরটি অটোভাবে বাতাস থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে সরাসরি রোগীকে সরবরাহ করতে পারে। একই সাথে দুইজন রোগীকে একটি মেশিন দিয়েই অক্সিজেন সেবা দেয়া যায়। শ্বাস কষ্ঠ ও হাপানী রোগীদের নেবুলাইজার পদ্ধতিও এ মেশিনটিতে সংযোজন করা রয়েছে। ফলে শ্বাস কষ্ট জনিত রোগীরাও এ থেকে সেবা পেতে পারে।
করোনা কালীন সময়ে পাবনার মানুষ যাতে সুষ্ঠ সেবা পেতে পারে সেজন্য তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাবনা জেলার নয়টি উপজেলা কমপ্লেক্সে নয়টি, পাবনা কারাগারে বন্দীদের জন্য একটি, পাবনা পুলিশ হাসপাতালের জন্য একটি এবং পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দুইটি মেশিন বিনা মূল্যে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে প্রদান করা হয়েছে।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মোর্শেদ বলেন, রোগীদের আপতকালীন সময়ে হাসপাতালের অক্সিজেন শেষ হলে জরুরীভাবে এ কনসেনটেটরটি কাজে লাগিয়ে রোগীদের তাৎক্ষনিক সেবা নিশ্চিত করা সহজ হবে। পাবনার এ বিশেষায়িত মানসিক হাসপাতালে এধরনের মেশিনের প্রয়োজন ছিল। তিনি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য কামনা ও ভবিষ্যতে দুস্থ মানব কল্যানে আবো ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মানসিক হাসপাতালের সুপার, ডা. রতন কুমার রায়, ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিউল আজম জিকো, মেডিকেল অফিসার ডা. নুর ইসলাম, ডা.ফজলে রাব্বি প্রমূখ।
Leave a Reply