সংবাদদাতা ঃ

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের কৈলাইন মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করা একজন মহান ব্যক্তির নাম প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
এই মহান ব্যক্তিটি এমন একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন যেখানে জন্ম নিয়েছিলো আরেক মহান ব্যক্তি মহাস্থবির শীল ভদ্র। যিনি প্রাচীন ভারতের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন।

প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও জন্ম সুত্রেই একজন সফল মানুষ। উনার দাদা মাওলানা কলিমউল্লাহ রহঃ ছিলেন অত্র এলাকায় বিখ্যাত ধর্ম প্রচারক। যার হাত ধরে কুমিল্লা চাঁদপুর অঞ্চল তথা দেশের অন্যতম নামকরা মাদ্রাসা উজানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়।

ব্যক্তি জীবনে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও প্রতিদিন নিয়মিত ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা কাজ করেন । ঘুমানোর জন্য উনি সময় ব্যয় করেন মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। একটা স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে যা অনেকটা অসম্ভব।

মানুষ হিসেবে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও একজন নিরহংকারী ও সাদা মনের মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেড ১ প্রফেসর কিংবা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েও উনার মনের মধ্যে অহংকারের লেস মাত্রও নেই। তিনি তার কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে শুরু করে সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও একজন দক্ষ প্রশাসক ও বটে। প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে যোগদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। কিন্তু উনার সঠিক নেতৃত্বের কারনে বর্তমানে দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি স্বচ্ছ ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

পেশাগত জীবনে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ,বিএনসিসিও একজন কিংবদন্তি মানুষ। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং জাপান স্টাডি সেন্টারের ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি) এর উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ড. কলিমউল্লাহ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর সম্মানিত চেয়ারম্যান।
ড. কলিমউল্লাহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৭ সালে অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক এবং ২০১১ সালে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর লেজিসলেটিভ ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি আর্ন্তজাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিশর, মোজাম্বিক, জাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব তিমুর লেস্টি ও গণচীনের হংকংসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন।

বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ১৭টি গ্রন্থ এবং দেশি-বিদেশি জার্নালে অসংখ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

এমন একজন কিংবদন্তী ব্যক্তির জন্মস্থান ও আমার জন্মস্থান একই উপজেলায় হওয়াতে নিজেকে আমি সবসময় সৌভাগ্যবান মনে করি।

সর্বশেষ প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

-:-মোঃ শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া,
সাবেক সাধারন সম্পাদক,
চান্দিনা ছাত্রকল্যাণ সমিতি, ঢাকা।