পরিমল চন্দ্র বসুনিয়া,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর কদিন বাদেই দেবী দুর্গা আসছেন। দেবীর আগমনকে ঘিরে দেবীর প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার শিল্পীরা। দিন রাত পরিশ্রম করে তাদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করছেন একেকটি অসাধারণ সুন্দর প্রতিমা।
উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নে শালপাড়া এলাকার প্রতিমা তৈরির শিল্পী লক্ষী কান্ত বলেন, এবার করোনা ভাইরাস ও সময় কম থাকার কারনে বেশি প্রতিমা সেট তৈরির আডার নেইনি। গত বছর ১০টি প্রতিমা তৈরি করে ছিলাম। এ বছর শুধু ৫টি প্রতিমা তৈরির আডার নিয়েছি। এগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যর পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা এলাকার একটি প্রতিমা সেটের আডার পেয়েছি। যার মূল্য ১৫,০০০ হাজার টাকা।
প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি প্রতিমা তৈরি করতে শিল্পীদের সর্বনিন্ম ৯ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিমা তৈরির জন্য তাদের ২ থেকে ৩ ভ্যান মাটি লাগে। খড়ের আউর লাগে ৪ থেকে ৫ পৌন। এছাড়াও কাঠ, বাঁশ, দড়ি, পেরেক, সুতা ও ধানের গুড়াসহ বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়। আর বাকি জিনিসগুলোর জন্য খরচ হয় তাদের ২-৩ হাজার টাকার মত। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায় শিল্পীরা কেউ কেউ বাড়িতে আবার কেউ পূজা মন্ডপেই শুরু করেছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
জানা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। তাই শিল্পীরা দেবী দুর্গাসহ প্রতিমাগুলোকে মনোমুগ্ধকর অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু কেশব চন্দ্র বর্মন বলেন, এবার হাতীবান্ধায় মোট ৭০টি পূজা মন্ডপে দেবী দূর্গার পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এবছর একটি পূজা মন্ডপ কমেছে, আর উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল এলাকায় একটি পূজা মন্ডপ বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, এবার পূজোয় অবশ্যই সকল ভক্তদের মুখে মাস্ক থাকতে হবে। সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। এছাড়াও সকল সরকারি নিয়ম মেনে পূজা অনুষ্ঠিত করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত হাতীবান্ধা প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের কোন মিটিং হয়নি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply