বরিশাল: সৎসঙ্গ না কালিবাড়ি? জগদ্ধাত্রী দুর্গারই রূপ ভেদ। সেই জগদ্ধাত্রী পুজোয় কে এগিয়ে সে তর্ক বহু বছরের। তবে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নের এই দুই জায়গার সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর চিরন্তন ঐতিহ্য। যদিও এবার কলসকাঠীর অন্তত ৯ টি মন্ডপে জগদ্ধাত্রী পুজো অনষ্ঠিত হচ্ছে। দুটি মন্ডপের পুজোর প্রতীমা আর সাজসজ্জা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আজ ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। তিনদিনব্যাপী পুজো আগামী ২৫ নভেম্বর শেষ হবে।
তের জমিদার বাড়ির কলসকাঠীর জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। উত্তর ও দক্ষিণ কলসকাঠীর পুজো। উত্তরের উল্লিখিত পুজোগুলো হচ্ছে, কলসকাঠী সৎসঙ্গ, সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, কমর্কার বাড়ি, হাওলাদার বাড়ি (নিমাই পাল),উত্তম পাল, হরিদাস পাল, বাসু পাল। তেমনই দক্ষিনের কালিবাড়ি, সরকার বাড়ি পুজো মন্ডপের পুজো উল্লেখযোগ্য।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোকসজ্জ্বার খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। এক এক পাড়ায় মেলে এক এক ধরনের চমক। প্রতিমার পাশাপাশি সৎসঙ্গ এবং কালিবাড়ি মন্ডপে সবচেয়ে আকর্ষণ আলোকসজ্জ্বা। বেশির ভাগ প্রতিমার মুখ মানবী রূপের। প্রতিমা সোলার সাজ এক চিরন্তন ঐতিহ্য পরিণত হয়েছে। যদিও ইদানীং দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ প্রতিমাকে রঙিন ঝলমলে সাজ পরানোর রেওয়াজটা বাড়ছে।
তবে সৎসঙ্গ কিংবা কালিবাড়ির মতো পুরনো পুজোগুলো শোলার সাজের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে তেমনই সাবেক রূপটিও অপরিবর্তিত রয়েছে। সময়ের সঙ্গে পুজোয় প্রবেশ করেছে থিম। বেশ কিছু পুজোয় দেখা যায় তাকলাগানো থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা। তবে বেশির ভাগ পুজোগুলিতে এখনও দেখা যায় চিরাচরিত বৃহৎ আকারের প্রতিমা, আকর্ষণীয় সাজ ও আলোকসজ্জ্বার চমক।
Leave a Reply