২৩ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর শিক্ষকদের জন্য পরিচালিত ৪র্থ ফাউন্ডেশন ট্রেনিং-এর প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের নেতৃত্বে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন সংক্রান্ত সার্বিক ব্যবস্থায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর প্রতিনিধিত্ব করেন মাননীয় উপাচার্য স্যার এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন সম্মানিত মেয়র জনাব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে আয়তনের দিক থেকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন এবং প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে কনিষ্ঠতম । গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ এবং ৫৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ গার্মেন্টস্ শিল্প গাজীপুর অঞ্চলে অবস্থিত। এছাড়াও অসংখ্য কল-কারখানা গাজীপুরে গড়ে উঠেছে এবং দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
পরিদর্শনের অংশ হিসাবে মেয়র মহোদয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অংশের উন্নয়ন কার্যক্রম সরজমিনে ঘুরে দেখান এবং বর্তমান অবস্থার বর্ণনা করেন। যার ফলে উন্নয়ন কর্মকান্ডের বাস্তব নমুনা হিসেবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র জনাব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম-এর সাক্ষাৎ পাওয়ায়, গাজীপুরকে আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার তাঁর প্রচেষ্টা ও স্বপ্নকে প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ হয়েছে ।
কিছু অঞ্চল ব্যতীত, গাজীপুর মূলত একটা সাদামাটা অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। রাস্তাঘাটের অবস্থা ছিল নাজুক। মেয়র মহোদয় তাঁর উদ্ভাবনী ধারনা কাজে লাগিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকবৃন্দ তাঁর তত্ত্বাবধানে গাজীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখেন। কিছু এলাকায় সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। সড়ক উন্নয়নে প্রয়োজনীতার পাশাপাশি নান্দনিকতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যথেষ্ট প্রশস্ত করে রাস্তা গুলো তৈরি হচ্ছে। এছাড়া অতি আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম প্রনয়নের কাজ চলমান রয়েছে। গাজীপুরের যানজট নিরসনে জনাব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। ন্যাশনাল হাইওয়ের ওপর চাপ কমানোর উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ রাস্তার উন্নয়ন ও ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সবশেষে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে মেয়র মহোদয়ের নিমন্ত্রণে প্রশিক্ষণার্থীরা আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। সুন্দর পরিপাটি নৈশভোজের আয়োজন, মেয়র মহোদয়ের আন্তরিকতা এবং আতিথেয়তা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেছে। নৈশভোজ সম্পন্ন করে বেরোবি, রংপুর-এর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে মতবিনিময় সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ সেশনে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বেরোবি, রংপুর-এর ভবিষ্যৎ উন্নয়নে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মেয়র মহোদয় মানবিকতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে একজন “আইকন” হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এরকম একজন কর্মপিপাসু এবং উদ্যোমী মানুষের সান্নিধ্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।
মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকবৃন্দকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সরেজমিনে পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এ পরিদর্শনের ফলে প্রশিক্ষনার্থীরা স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করেছেন এবং বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এর গুরুত্ব অনুভব করেছেন।
ইয়াসমিন সুলতানা
প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
সহকারী পরিচালক, বেরোবি ক্যাফেটেরিয়া
সভাপতি, বিআরইউআর এআরসি
নির্বাহী সদস্য, নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ
সদস্য, বঙ্গমাতা পরিষদ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply