স্বীকৃতি বিশ্বাস
নিউজ ডেক্সঃ
সব সাধকের বড় সাধক হচ্ছে সেই দেশের কৃষক।কৃষক যদি পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন না করে তবে শহুরে বাবুদের পেটের অন্ন যোগানোর যো নেই। সব ধরনের অফিস,আদালত,মিল,কলকারখানা সর্বত্রই ইউনিয়ন আছে।ব্যতিক্রম শুধু কৃষিকাজে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের বেলায়। তাদের কথা যেকোন দেশের রাজনৈতিক দল মুখে বললেও বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় শূণ্য।
সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে ভারতে সাম্প্রতিক সময় পাশ হওয়া কৃষি যোজনা বিল পাশ করা হয়েছে তা কৃষকের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে বর্তমান বিজেপি সরকার বলছে।কিন্তু বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় অন্তঃসার শূণ্য ও কৃষকের ঘোর বিরোধী। আর তাই গত কিছু দিন যাবত কৃষকেরা আন্দোলন করে চলেছেন এবং দিল্লি ঢোকার চেষ্টা করলে বিভিন্ন জায়গায় ব্যরিকেড দিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সরকার দলীয় হ্যাবিওয়েট নেতাদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা হলেও আলোচনার ফলাফল শূণ্য।দিন যত গড়াচ্ছে সরকার বিরোধী আন্দোলনও ততো গতি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে জনপ্লাবন দিল্লির দিকে আছে এবং সুপ্রিমকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি শহরে ঢুকে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সরকার সতর্ক, সতর্ক বিজেপির মিত্র সংগঠন শিবসেনা। এ মতবাস্থায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিরোধ চরমে এবং রাজনৈতিক নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা হয়তো সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে।
আর এ ক্ষেত্রে সরকার ও কৌশলী।আগামীকাল বুধবার কৃষকের এজেন্ডা নিয়ে বসার সমূহ সম্ভাবনা।ইতিপূর্বে যে সকল বৈঠক হয়েছে সেখানে এজেন্ডা আকারে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা ছিল না।
কৃষক নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমিত শাহ্ ও কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্রনাথ সিং তমকে।আর বিজেপির সভাপতি এনকে নাড্ডা পরামর্শক হিসাবে সাথে থাকবেন।
কৃষক নেতারা আর সময় দিতে রাজি নয়। রাজ্য পর্যায়ে বিজেপি নেতাদের বাড়িঘরে হামলা চলছে।হান্নান মোল্লা বিশেষ সাক্ষাতকারে বিবিসিকে বলেছেন, প্রয়োজন হলে পার্লামেন্টের সামনে বসে পড়বেন।
কৃষকের আন্দোলনকে সমার্থন জানিয়ে আজও একজন আইনজীবী আত্মাহুতি দিয়েছেন এবং সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ এর উপরে।
Leave a Reply