এ্যান্টনি দাস(অপু)-ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও আসন্ন চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং চৌগাছার কৃতি সন্তান জসিম উদ্দীন। এলাকার জনগনের সেবায় পাশে দাড়াতে বাকি রাখেনি করতে কোন কিছুই। মানবতার এই মানবতার ফেরিওয়ালার জনসেবার কথা।
বিগত ২০ সালের করোনা মাহামরীর সময় জসিম উদ্দীন নিজের কর্মকান্ডে পরিচয় দিয়েছে এক মানবতার ফেরিওয়ালার। নিজের কথা চিন্তা না করে চিন্তা করেছেন চৌগাছা উপজেলার হতদরিদ্র, নীরিহ মানুষের কথা। এতো বড় মহামারীর মধ্যেও হাসি ফুটিয়েছেন এক নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির মানুষের মুখে। আর এই হাসি ধরে রাখতেই চৌগাছা উপজেলাবাসী ও পৌরবাসী চৌগাছা পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চায় এই মানবতার ফেরিওয়ালা জসিম উদ্দীন কে।
চৌগাছা উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা বলেন-আমাদের কাছে জসিম উদ্দীন ভাইয়ের মানবতার বাখ্যা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমাদের নাই। জসিম উদ্দীন মেয়র না হয়ে যা করেছেন তা সত্যিই বলে বোঝানোর ভাষা নেই। করোনার সময় আমাদের চাল,ডাল,তেল,আলু,পিয়াজ সহ দফায় দফায় কতবার যে আমাদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে তার হিসাব আমাদের কাছে নাই। অনাহার থেকে আমাদের প্রত্যেকটি পরিবারকে বাঁচানোর পেছনে সব অবদান জসিম উদ্দীন ভাইয়ের। উনি আমাদের মাঝে ছিলো বলে আমরা বেঁচে আছি। শুধু ত্রান সামগ্রীতে সীমাবদ্ধ নয় করেছে নগদ অর্থ বিতরন, সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার,মাক্স,সাবান ইত্যাদি। কি করে নাই জসিম ভাই আমাদের জন্য। জসিম উদ্দিন ভাই ছিলো আমাদের মাঝে থাকবেও আমাদের মাঝে, আর সেজন্য আমরা জসিম উদ্দীন কে পৌর মেয়র হিসেবে আমাদের মাঝে দেখতে চাই।
মানবতার ফেরিওয়ালা জসিম উদ্দীন যে শুধু অসহায় দরিদ্র পরিবারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তা নয়। তিনি চৌগাছার সাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাসাপাতালে সর্বপ্রথম পিপিই এনে বিনামূল্যে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে বিতরন করেন।
চৌগাছা উপজেলার গন মানুষের আস্থার ঠিকানা এই মানবতার ফেরিওয়ালা জসিম উদ্দীন সম্প্রতি দৈনিক লাল সবুজের দেশ পত্রিকাতে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন- আমি মেয়র না হয়েও পৌরবাসীর সহোযোগিতা করেছি। আর এভাবেই বাকি জীবন জনগনের কল্যানে বিলিয়ে দিতে চাই। আমি উপজেলার অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা রাখতে এবং তাদের মাঝে আরও সেবা সহোযোগিতা করার লক্ষ্যে আমি আসন্ন চৌগাছা পৌরসভা মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার পরিপেক্ষিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি যেন আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আবারও জনগনের পাশে দাড়িয়ে সতস্ফুর্তভাবে সেবা করার সুযোগ করে দেন।
তিনি আরও জানান- আমি চৌগাছা উপজেলা পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে যেহেতু চৌগাছা একটি সিমান্তবর্তি উপজেলা সেহেতু বিশেষ ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। আমি ইতিমধ্যে কয়েকজন মাদকব্যাবসায়ীকে কাচামালের ব্যাবসা করার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেছি। আর আল্লাহ আমাকে যতদিন পৃথীবিতে রাখে আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সপ্নের ডিজিটাল দেশ গড়ার প্রত্যায়ে যা যা করার দরকার আমার উপজেলায় আমি করবো। এবং শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নয় আমারও সপ্ন এই চৌগাছা পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে দেশের জনগনের কাছ তুলে ধরবো। আমি ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফর্ম পূরন করেছি। আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিবেন। এ বিষয়ে আমি আশাবাদ প্রকাশ করছি।
Leave a Reply