এ্যান্টনি দাস(অপু)-অপরাধ জগতঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু ক্ষমতার জোরে পার্শবর্তি বসতবাড়ীর যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পার্শবার্তি জিম্মি হওয়া বাড়ির মালিক মোঃ আজাহার আলী পিতাঃ মোঃ আবদুল আজিজ এবং একই মাটিকুমরা গ্রামে বসবাসকারী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতাউর রহমানর(মিন্টু)র সাথে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভুক্তভোগী আজাহার আলীর ৮ শতক জমি নিয়ে বিবাদ।
চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বিগত কয়েকবছর ধরে মোঃ আজাহার আলীকে তার বসতবাড়ির রাস্তার সন্নিকট জমিটি জোরপূর্বক বিক্রয় করার জন্য নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে।
সম্প্রতি জোরপূর্বক ভুক্তভোগী মোঃ আজাহার আলীর জিমিটি বিক্রি করার জন্য রাজি না করাতে পেরে তাদের বাউন্ডারির চার দেওয়ালের অর্থাৎ তাদের বসতবাড়ীর একমাত্র যাতায়াতের পথটি সামনে থেকে আড়াআড়িভাবে পাকা প্রাচীর দ্বারা আটকে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আজাহার আলী ঝিকরগাছা থানাধীন বাঁকড়ার তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য গেলে তাঁদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
তবে, পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে পুনরায় আবারো পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে প্রাচীর গাথা শুরু করে চেয়ারম্যানের রাজমিস্ত্রীগন। এসময় বসতবাড়ি কতৃপক্ষ বাধা প্রদান করলে চেয়ারম্যান ভুক্তভোগী পরিবারের প্রাননাশের হুমকি সহ চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভুক্তভোগী বাড়ির পাশেই অবস্থিত চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এবং কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয় প্রতিবেদক।
এ অভিযোগের ব্যাপারে বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ রিপন বালা বলেন- অভিযোগ পাবার সাথে সাথে আমি কাজটা আপাতত বন্ধ করার জন্য ঘটনাস্থলে এস.আই মইনুল ইসলাম,কে পাঠিয়েছিলাম। এস.আই মইনুল ইসলাম তাকে মানবিক দৃষ্টিকোনে দেখার জন্য বার বার অনুরোধ করে। কিন্তু তিনি কোন অবস্থাতেই তার কথা রাখেনি।
Leave a Reply