লিয়াকত হোসেন খোকন
অশিক্ষিত ছবিটি দেখেছিলাম ঢাকার বলাকা প্রেক্ষাগৃহে।
তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ
পরীক্ষার্থী।
আজিজুর রহমান পরিচালিত অশিক্ষিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল
১৯৭৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর।
প্রযোজক – রমলা সাহা।
কাহিনী ও সুর সৃষ্টি – সত্য সাহা।
সম্পাদনা – নুরুন্নবী।
চিত্রগ্রাহক – আবু হেনা বাবলু।
ছবিতে অভিনয় করেছিলেন –
সুমন, রাজ্জাক,
রোজী সামাদ, অঞ্জনা,
শওকত আকবর, সৈয়দ হাসান ইমাম,
নারায়ণ চক্রবর্তী, টেলি সামাদ,
এটিএম শামসুজ্জামান।
ছবিতে রাজ্জাক ছিল চৌকিদার – অশিক্ষিত।
সুমন স্কুলের মেধাবী ছাত্র।
সে গ্রামের অশিক্ষিত লোকজনকে শিক্ষিত করে তুলতে চাইত।
গ্রামের মাতব্বর এতে বাধা দিত।
কারণ মাতব্বর ছিল লম্পট ও খারাপ চরিত্রের লোক।
মেয়েদের দেখলে তাদের দিকে
হাত বাড়াতো।
রাজ্জাককে অক্ষর জ্ঞান ও দস্তখত দেয়া শিখায় সুমন।
মাতব্বরের ষড়যন্ত্র রাজ্জাক টের পায় –
এবার সে মাতব্বরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
মাতবর দেখল, বেগতিক অবস্থা – রাজ্জাককে মারতে হবে।
বন্দুক দিয়ে গুলি করে রাজ্জাকের দিকে, তখন সুমন সামনে এসে দাঁড়ায়।
রাজ্জাককে বাঁচাতে গিয়ে সুমন গুলিতে নিহত হ’ল।
ছবির উল্লেখযোগ্য গান হ’ল –
ঐ যে দূরের আকাশ –
এ গানটির কণ্ঠশিল্পী ছিলেন – রমলা সাহা।
আমি এক পাহারাদার –
এ গানটির কণ্ঠশিল্পী ছিলেন –
ফেরদৌস ওয়াহিদ।
মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত করতে চাই –
এ গানটির কণ্ঠশিল্পী ছিলেন –
সুবীর নন্দী ও সাবিনা ইয়াসমিন।
ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুরাইছে –
এ গানটির কণ্ঠশিল্পী ছিলেন –
শাম্মী আখতার ও খন্দকার ফারুক আহমেদ।
রাজ্জাক ছিলেন চৌকিদার রহমতের ভূমিকায় ;
স্কুল শিক্ষকের চরিত্রে ছিলেন – শওকত আকবর ;
এটিএম শামসুজ্জামান – টেনু মাতব্বরের চরিত্রে ;
সুমন – মানিকের চরিত্রে
এবং মানিকের মায়ের চরিত্রে ছিলেন – রোজী সামাদ।
Leave a Reply