অনলাইন ডেক্সঃ
গত কয়েক দিন ধরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গে নারদা দূর্নীতি মামলা নিয়ে মুহুর্তে মুহূর্তে নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সিবিআাই যুক্ত করতে যাচ্ছে বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় সাথে আরও যুক্ত হচ্ছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও দলীয় নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যয়েরও নাম।
মূলতঃ গত পরশু সোমবার এই মামলার আসামি ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করাকে কেন্দ্র করে করোনার এই বৈশ্বিক মহামারীর জন্য চলমান লকডাউনের মধ্যে পশ্চিম বঙ্গের সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেস, রাজ্যপালের কার্যালয় বা রাজভবনসহ
পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে যে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছিল তারই প্রেক্ষিতে মমতা ব্যানার্জিসহ আরও দুই জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ফিরহাদ হাকিমসহ চারজনকে সিবিআই হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে আনার লক্ষ্যে মমতা ব্যানার্জি নিজাম প্যালেসে ৬ ঘন্টা ধন্নায় বসেন এবং নানাভাবে সিবিআই আধিকারিকদের উপর চাপ এবং প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা করেন।
অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং দলীয় নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই নিজাম প্যালেসের বাইরে হাজার হাজার তৃণমূল সমার্থক ইট,পানির বোতল ছোড়ে।এছাড়া বারবার রাজ্যপাল ও সিবিআইকে হুুমকি ধামকি দিতে থাকে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালের মার্চে এই নারদা কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সেই মামলায় আসামি করা হয় তৎকালীন চার মন্ত্রীসহ বর্তমান বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়সহ কয়েকজন নেতাকে। কিন্তু মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্যে সিবিআই রাজ্যপালের কাছে এই মামলা চালানোর অনুমতি চায়। দীর্ঘদিন পর সপ্তাহ খানেক আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এই মামলা চালানোর অনুমতি দেয়।আর এজন্য রাজ্যপালের উপর মহাক্ষেপা মমতা ব্যানার্জিসহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা।
অন্যদিকে সার্বিকদিক বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তথা সিবিআই এই মামলা পশ্চিম বঙ্গের পরিবর্তে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন করেছে হাইকোর্টে।তাদের আশংকা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে মমতা ব্যানার্জিসহ প্রভাবশালী গোষ্ঠী এই মামলার নিরপেক্ষ বিচারকার্যে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
এদিকে অভিযুক্ত চার আসামিকে আজও জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। আগামীকাল আবার শুনানি। ভারতবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আগামী দিনের নাটকীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির শেষ দৃশ্য দেখার জন্যে।