নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নে কামারগাঁও মৌজায় প্রতিষ্ঠিত হয় ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্যামসাং কোম্পানী। কোম্পানী প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই তাদের দৃষ্টি পরে পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকার উপর। তাদের হীন উদ্দেশ্যে হাসিল করার জন্য স্থানীয়দের মধ্যে নিজস্ব একটি দালালচক্র তৈরী করে। এই দালাল চক্রের নেতৃত্ব দেয় করিম বাচ্চু ডাক্তার ও জয়নাল গং। করিম বাচ্চু ডাক্তার ও জয়নাল এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের ফুসলিয়ে লোভ লালসার মাধ্যমে তাদের ভিটামাটি স্যামসাং কোম্পানীর কাছে বিক্রি করে দিতে উৎসাহ করে তাদের কথায় রাজি না হলে হুমকি-ধামকি দিয়ে জোরপূর্বক বাধ্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় অরুন মিয়া বিদেশে থাকাবস্থায় তার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে ও জোরপূর্বক বায়নাপত্র দলিলের মাধ্যমে তাদের ভিটামাটি অর্ধেকের মধ্যে বাউন্ডারি দিয়ে ফেলে স্যামসাং কোম্পানী। সম্পন্ন টাকা অদ্যাবধি পরিশোধ না করেই অরুন মিয়াকে জোরপূর্বক হুমকি ধামকি ও চাপ সৃষ্টি করছে সম্পন্ন বাড়ী কোম্পানী বরাবর লিখে দেওয়ার জন্য উক্ত দালাল চক্র। এরই এক পর্যায়ে দালাল চক্রের উসকানিতে জয়নাল, সোহরাব, মাসুদ ও বেলায়েত গত ০৯/০৯/২০২১ইং আশরাফুল ইসলাম অরুন ও তার স্ত্রী এবং ছোট বোনের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে ব্যাপক মারপিট করে অরুণের বোনকে হাত ভেঙ্গে দেয় এবং অরুনের স্ত্রীকে শ্রীলতাহানি ঘটায়
। এ বিষয়ে অরুন আদালতে একটি মামলা করে। এই জমির উপর ১৪৫ ধারা মামলা চলমান আশরাফুল ইসলাম অরুন জানায়, বর্তমানে স্যামসাং কোম্পানী প্রতিনিধি আহসান হাবীব ও শিকদার বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমার ভিটেমাটি কোম্পানীকে দলিল না করে দিলে আমাকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে আমার পুরো ভিটেমাটি দখল করে নিবে এবং আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে । অরুণ আরো জানান এই ব্যাপারে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে ঘটনাটি তদন্ত করেছিলেন এবং কোম্পানির লোক কে এলাকাবাসীর সাথে ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং মারধরের প্রতিবাদ করেন ।এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, এলাকার ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদের সম্পত্তি ওয়ারিশ কিনে স্যামসাং কোম্পানী ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে। এ কারণে এলাকার ছেলে-মেয়েরা কোরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আরো জানায়, কোম্পানীর মেশিনারীজের ও জেনারেটরের বিকট শব্দে কারণে পার্শ্ববর্তী বাড়ীঘর, দেওয়াল ও ছাঁদে ফাটল দেখা দিচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুহীন হতে পারে এলাকাবাসী। এব্যাপারে দালাল চক্রের মূল হোতা করিম কে জিজ্ঞাসা করলে সে বিএনপি’র এক নেতার নাম বলে হুমকি-ধামকি দেয় নিউজ করলে দেখে নিবে বলে জানান কোম্পানির প্রতিনিধি শিকদারকে ফোন করে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি ব্যস্ত আছি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং কোম্পানির আরেক প্রতিনিধি আহসান হাবিব কে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি এলাকাবাসী এ বিষয়ে উর্ধ্বতন যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছে।
Leave a Reply