মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
বরগুনার তালতলীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ইব্রাহিম (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) রাত ১ টার দিকে তালতলী উপজেলার ছোট ভাইজোড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা করেছেন নিহতের বাবা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌরভী এলাকার বাদশা খলিফার ছেলে ইব্রাহিমের (২২) সাথে একই উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া এলাকার মো. দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ে লামিয়ার (১৯) দু’বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। চার মাস আগে একটি সন্তান হলে লামিয়া আক্তার বাবার বাড়ি চলে যায়। সেই সময়ে স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়ি গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে ফেরৎ আসেন ইব্রাহিম। পরে নোয়াখালীতে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতে চলে যায়। নোয়াখালী থেকে চার মাস পরে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ হলে স্ত্রী জানান তালতলী সদরে বাসা রেখে যদি থাকা যায় তাহলে স্বামীর সাথে থাকবে শশুর বাড়ী থাকবেনা। পরে ইব্রাহিম তালতলী সদরে বাসা রেখে গত কাল সোমবার শশুর বাড়ি স্ত্রীকে আনতে যায়। এ নিয়ে শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ইব্রাহিমের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ১ টার দিকে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় তার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ইব্রাহিমের শশুর মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার সারাদিন আমার বাড়ি কাজ করেছে ইব্রাহিম। সন্ধার দিকে আমি প্রজেক্টের ডিউটি শেষে বাড়িতে এলে ইব্রাহিমকে বাড়িতে দেখতে পাই। রাতে আমার মেয়ে চিৎকার করে ডাকতে থাকে, গিয়ে দেখি আমার পিছনের একটি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।
ইব্রাহিমের বাবা বাদশা খলিফা বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এর আগে গত ৪ মাস আগে আমার ছেলে তার স্ত্রীকে আনতে গেলে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে তার শশুর। পরে অভিমানে ছেলে নোয়াখালী চলে যায়। আমার ছেলের লাশ যখন উদ্ধার করেছে। তখন তার পায়ে জুতো এবং মাটিতে দাড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমার মনে হয় এটা হত্যা, আমি এ হত্যার বিচার চাই। আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে তারপর বুঝবো।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের রির্পোটের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply