হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জুবাইর আলম এবং আব্দুর জাহিরের বিরুদ্ধে মামলা দায় করে চুনারুঘাট উপজেলা রানীকোট গ্রামে বহুরুপি কতিত মানবাধিকার কর্মী পারুল।আজ হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলা দায়ের করে বহুরুপি পারুল।কখনো মানবাধিকার কর্মী কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সহজ সরল মানুষকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে এবং কিছু লোকদের কাছ থেকে চাকুরী দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা আদায় করে বিপদে পেলে।ভুক্তভোগীরা তার কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন মামলার হুমকি দামকি দিত । তার নির্যাতন সইতে না পেরে গত ১০/০১/২০২২ইং তারিখে প্রতিবেশী পন্ডিত মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায় করেন।
পরে চুনারুঘাট থানা পুলিশ থাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেরন করে। পরে সংবাদ পত্র সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বিচার দাবি করে পোস্ট করে।সাংবাদিক জুবাইর এবং আব্দুল জাহির মিয়া অপকর্মের বিচার তুলে ধরেন। তার সকল অপর্কম ঢাকতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে।
বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলটি হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তদন্ত করে প্রতিবেদনর দাখিলের নির্দেশ প্রদান করে।
চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি জামাল হোসেন লিটন,সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু সাধারণ সম্পাদক শেখ হারুনুর রশিদ ,চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ জানান একশ্রেণীর মানুষ সাংবাদিকদেরকে বিভিন্ন প্রকার মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমাদের জানামতে সাংবাদিক জুবায়ের এবং আব্দুজ জাহির তারা উভয়ে সমাজের নিরীহ নির্যাতিত ব্যক্তিদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে, এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ করে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে, এই মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়েরের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
হবিগঞ্জ জেলার গোয়েন্দা পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতে সঠিক প্রতিবেদন প্রেরণ করতে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন।যাতে কোনো সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার না হয়, অনতিবিলম্বে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করতে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি তাহারা অনুরোধ জানান।হবিগঞ্জ জেলা এবং চুনারুঘাট উপজেলা কর্মরত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন তার তীব্র নিন্দা জানান,চুনারুঘাট উপজেলার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজের সচেতন ব্যক্তিগণ উক্ত মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং উক্ত মামলাটি প্রত্যাহার না করা হলে সাংবাদিক সহ সমাজের সকল সকল পেশার মানুষ তার প্রতিবাদে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য কথিত মানবাধিকারকর্মী পারুল আক্তার রানীকোটের চাঞ্চল্যকর আবু মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে আবু মিয়া হত্যা মামলার বাদী মোহাম্মদ মানিক মিয়া সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে পারুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণের আবেদন জানান।
Leave a Reply