চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ৪০ নং ওয়ার্ড ষ্টীলমিল বাজার মুন বেকারি গলি এলাকায় লাভলী নামে (২৫) বছরের এক নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।২০ মে শুক্রবার রাত ১০ ঘটিকার সময় ধর্ষণ মামলার আসামি আরমান নামে(২১)বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। ধর্ষণের শিকার লাভলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে বলেন,২০২১ সালে আরমান নামে একটি ছেলের সাথে রুপসা মাল্টিপারপাসের টাকার বিষয় নিয়ে পরিচয় হই। আরমান আমাকে বলে রুপসাতে যে টাকা রয়েছে তা আমি আদায় করে দেবো,তুমি আমাকে তোমার নাম্বার দাওয়,পরে আমার কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নেয় আরমান। এখন পযন্ত আমার টাকা রুপসা মাল্টিপারপাস থেকে তুলে দিতে পারেনি আরমান। এরপর থেকে আস্তে আস্তে আমাদের একটা সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
তিনি আর ও বলেন, গত ২১ মার্চে আমি বাড়ী থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হই,আরমান তখন আমার মোবাইল ফোনে,ফোন দিয়ে বলে লাভলী আমি তোমার জন্য সিএনজি নিয়ে অপেক্ষা করছি তোমাকে রিসিভ করবো। পরে আমাকে নিয়ে সাগরপার বেরিবাধের রোড দিয়ে সিএনজিতে করে নিয়ে আসেন। একটু সামনে গিয়ে সিএনজির ড্রাইভারকে বলেন, সিএনজি টা একটু দাঁড়া করুন, আমি একটু প্রসাব করবো,পরে সিএনজি ড্রাইভার গাড়ি দাঁড়া করালে,আরমান গাড়ী থেকে নেমে একটি জুসের নিয়ে আসে,এসে আমাকে বলে লাভলী তুমি খুব ক্লান্ত জুসটা খাও, আমি সরল বিশ্বাসে জুসটি খাই। পরে আমার মাথাটা কেমন জানি চিনচিন করে তখন আমার স্মরণশক্তি একটু ছিল। তিনি বলেন,তবে একটু করে আমি অনুভব করতে পারছি,আরমান আমাকে সিএনজিতে বসে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে,পরে আমাকে বাসায় রেখে চলে যায়।
গত ২৪ তারিখ রাত ১০ টা দিকে আরমান আবার আমার বাসায় চলে আসে,এবং আমাকে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করবো,এই জন্যই বাসা নিয়ে দিয়েছি,তাহলে সমস্যা কোথায় এই কথা বলে অনেক ক্ষণ আমার সাথে ধস্তাধস্তি করে আবারোও আমাকে ধর্ষণের করে। যখন আমার সাথে ধস্তাধস্তি করে তখন আমার হাতে থাকা একটি বাটন মোবাইল ফোন দিয়ে আমি তার ভিডিও ধারণ করি।
আরমান আমাকে বলে লাভলী তুই বড় ভুল করলি তোর সাথে আমার আপত্তি কর যে ছবি গুলো আছে সেগুলো আমি সোশাল মিডিয়াতে ছেড়ে দিবো। এই কথা যদি অন্যকাউকে বলাবলি করিছ তাহলে তোকে আমি মেরে ফেলবো,তুই জানিস না আমি এই এলাকার একজন বড় ভাই,সবাই আমার কথায় উঠে আর বসে। তুই জানিস পতেঙ্গা থানার সকল এস আই আমার পরিচিত,তুই আমার কিছুই করতে পারবি না,বলে আমার মোবাইল ফোন ও হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে আমি নিরুপায় হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করি,এবং ওসি সাহেব আমার মামলাটা গ্রহণ করে আসামী আরমানকে গ্রেফতার করেন।
ধর্ষণের ব্যাপারে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদেরকে বলেন,লাভলী নামে একটি মেয়ে থানায় এসে আমাদেরকে বলে সে নাকি ধর্ষণের শিকার হয়েছে,এবং ধস্তাধস্তির কিছু ভিডিও দিয়েছে,ভিডিও অনুযায়ী মেয়েটির মামলা আমরা গ্রহণ করেছি,সেই সাথে ধর্ষণকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আর ও বলেন, আমরা মেয়েটিকে প্রাথমিক ভাবে ডিএনএ টেস্টের জন্য মেডিকেল পাঠিয়েছি , মেডিকেল থেকে ডিএনএ টেস্ট আসার পরে বলা যাবে মূল রহস্যেটা কি।
ধর্ষণের ব্যাপারে পতেঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ধর্ষণ মামলার আসামী আরমান কে আমার আদালতে হস্তান্তর করেছে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
Leave a Reply