1. admin@lalsabujerdesh.com : ডেস্ক :
  2. lalsabujerdeshbd@gmail.com : Sohel Ahmed : Sohel Ahmed
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চট্টগ্রামে তথ্য সংগ্রহকালে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম নওগাঁয় র‍্যাবের হেফাজতে  সুলতানা জেসমিন নামে এক ভূমি অফিস সহকারীর  মৃত্যু নর্থ- সাইপ্রাস বাংলাদেশ কমিউনিটির “মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন ২০২৩ “ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল বাঙালির মুক্তি ও স্বাধিকার অর্জনের মূলমন্ত্র: ড.কলিমউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে অভিযান শিক্ষা কর্মসূচির উদ্দ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান । রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চিরকুট লিখে কিশোরীর আত্মহত্যা ভৈরব থেকে ৩৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা পাচারকালে ০১ মাদক কারবারীকে আটক টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এর বিদায়: নবাগত অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমদ কে বরণ। দেশ ও প্রবাসের সকলকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংবাদিক মোঃ শহিদুল ইসলাম ফসলি জমি দখল করে মাটি বিক্রি, থানায় অভিযোগ

হারিয়ে গেছে ফেরিওয়ালা 

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৯ বার
হারিয়ে গেছে ফেরিওয়ালা 

লিয়াকত হোসেন খোকনঃ                                                  

এক সময় ছিলো ফেরিওয়ালা -আজ ফেরিওয়ালাদের চোখে পড়ে না। একদা শীতের সকালে শনশনে ঠান্ডার মধ্যে দূর থেকে খুব পরিচিত ডাক ছিলো ‘ চাই খেজুর রস ‘— শুনেই লেপের তলার আরাম ছেড়ে লোকজন লাফিয়ে উঠতো। 

একটু পরেই ফেরিওয়ালা হাঁক দিতো, ‘ চাই মুড়ির চাক, ছোলার চাক, চিড়ের চাক। ‘

সকালের নাস্তা খাওয়া শেষ হলে দেখা যেতো ঘোল – মাখন ফিরিওয়ালাদের। সেই যুগে (১৯৫৮ – ১৯৬৮) আতরওয়ালারা অভিজাত পরিবারে আতর, ফুলেল তেল, গোলাপ ও কেওড়ার নির্যাস ফিরি করতো। এরা কিন্তু বেশি চেঁচামিচি করতো না। তাদের অপূর্ব মধুর গন্ধগুলোই খবর নিয়ে যেতো বাড়ি -বাড়ি তাদের আসার। তখন ছিলো নাকের নোলক ও নখের জুরির জন্য মুক্তো বিক্রেতা, মাথার খোঁপা বাঁধার জন্য ফিতেওয়ালা প্রভৃতি।

কাঁসি বাজাতে বাজাতে আসতো কাঁসার বাসনওয়ালা।  আরও আসতো ‘ এক পয়সায় ছখানা দেশলাই ‘ওয়ালা। তেলওয়ালারা এসে বাড়ির মধ্যে ঢুকে হাঁক দিতো, ‘ কেরোসিন তেল ‘,  অমনি কাজের লোকরা বোতল নিয়ে আসতো। বইও ফিরি হতো তখন।  বর্ণ পরিচয়,  রামায়ণ, মহাভারত, সিনেমার গানের বই, কবিতা -ছড়া -উপন্যাসের বই।

তখন ছিলো সব কয়লার উনুন।  মেয়েরা ফিরি করতো ঝুড়িভর্তি কয়লা।

আসতো বাড়ি – বাড়ি পাউরুটি – বিস্কুটওয়ালা। তবে সবসময় বিক্রেতাদের গলায় ঝোলানো থাকতো পৈতে। তাঁতিনি তো নিত্যদিন  চলে আসতো বাড়ির অন্দরমহলে তার পসরা নিয়ে।  নাপতিনি এসে বাড়ির মেয়েদের ঝামা দিয়ে পা ঘষে আলতা পরিয়ে দিয়ে যেতো। বিকেলের সূর্য ঢলে পড়ার সংগে সংগে হাওয়ায় ভেসে আসতো অঢেল জলখাবারের ডাক।

যেমন – পাঁটার ঘুঘনি,  নকুলদানা, চুরমুর ভাজা,  সাড়ে বত্রিশ ভাজা। আজ এসব কোথায়?  সব যেনো হারিয়ে গেছে একে একে।

কিন্তু হৃদয় পটে জেগে থাকল ফেরিওয়ালার কন্ঠের সেই মনভুলানো গানখানি – ” এইতো আছে রঙিন ফিতে

খোঁপার কাঁটা কানের দুল “।

লাল সবুজের দেশ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..