এ.জেড আমিনুজ্জামান রিপন:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ের (মতির মোড়) এলাকায় পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ মো, রফিক ওরফে (ঠান্ডা মিয়ার) ৫০ বছর বয়সি একটি তালগাছসহ বেশ কিছু ফল-ফলাদির গাছপালা কেটে জায়গা দখল করে পাকা বসত বাড়ী নিমান করছেন প্রভাবশালী জজ ও তার সাত ভাই । ঘটনা স্থলে গেলে জানা যায় জজ আকবরের ক্ষমতা বলেই তার পরিবারের লোকজন এসব করছে। ক্ষতিগ্রস্থ শেখ রফিক স্ত্রী বিলকিস রফিককে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে আশানুরুপ কোন ফলাফল পাই নাই তারা। সুুধু তাই নয় বাঁধা দেয়ায় শারীরিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন জায়গার মালিক শেখ রফিক ও তার স্ত্রী বিলকিস রফিকসহ ছেলে মেয়েরা। বাড়াবাড়ি করলে একাধিক মামলা দিয়ে হাজতে ভরে রাখার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
কোটালীপাড়া পশ্চিম পাড়ের ছইর উদ্দিন শেখ এর ছেলে বর্তমান ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আকবর আলী শেখ। ভাইয়ের ক্ষমতাবলে তার ছয় ভাই ও ভাইয়ের মেয়েরা ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। জজের ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করতে পারেনা। সরেজমিনে গেলে জানা যায়, রফিকুল ইসলামের প্রয় তিন শতাংশ জায়গার ভিতরে জোর করে বড়ি নির্মন করছে জজ ও তার ভাইয়েরা। সুধু তাই নয় ৫০ বছরের পুরনো একটি তালগাছসহ একাধিক ফলের গাছও কেটে ফেলা হয়েছে। বাঁধা দেয়ায় মারপিটের স্বীকার হয়েছে জায়গার মালিক শেখ মো, রফিক ও তার স্ত্রী বিলকিস রফিকসহ তার ছেলেমেয়েরা। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বার বার থানায় গেলেও কোটালীপাড়া থানা পুলিশের কোন সহযোগীতা তারা পাই নাই।
এ ব্যপারে রফিকুল ইসলামের মেয়ে আসমার নিকট মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি বলেন , জজ আকবর আলী ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের পরিবারের উপর অত্যাচার করে আসছে। আমি খুব ভাল ছত্রী ছিলাম, ওরা জানে যে আমি ভালো রেজাল্ট করবো, তাই ওরা ছলেছুতে আমাকে মেরে হাসপাতালে পাঠায় যাতে আমি খারাপ রেজল্ট করি। তিনি আরোও বলেন, জজ আকবর মাদ্রাসা নির্মানের কথা বলে আমাদের সকলের কাছ খেকে যায়গা নিয়ে সেখানে মাদ্রাসা না করে করেছে গাছের বাগান। এরুপ নানা আপকর্মের সাথে জড়িত জজ আকবর ও তার পরিবারের লোকজন। আমরা নিরুপায় হয়ে সাংবাদিকদের দারগ্রস্থ হয়েছি। আপনার কোটালীপাড়া পশ্চিম পাড় এলাকায় গেলে এদের আকাম কুকাম সম্পর্কে সব কিছুই জানতে পারবেন।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ শেখ রফিক ও তার স্ত্রী বিলকিস রফিক অভিযোগ করে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, প্রতিবেশি মোঃ আকবর আলী শেখ সহ সাত ভাই মিলে পেশি শক্তি খাটিয়ে জোরপুর্বক আমার জায়গা দখল করে পাকা বসতবাড়ী নিমান করছেন। তারা আমার একটি তাল গাছসহ বেশ কয়েকটি ফলফলাদির গাছও কেটে ফেলেছে। বাধা দেয়ায় তারা আমার অসুস্থ স্বামী ও আমাকে ছাড়াও আমার ছেলেমেয়েদের শারীরিকভাবে আঘাত করেছে। ঘটনাটি আমি এবং আমার স্বামী প্রথমে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছি কিন্ত তাদের কাছ থেকে আশানুরুপ কোন ফলাফল পাইনি। পরে. স্থানীয় কোটালীপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্ত পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি। ৭ ভাই ২ বোনের মধ্যে ছোট মো, আকবর আলী শেখ ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। এলাকার পেশি শক্তি ও আকবর আলীর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ওরা সাত ভাই মিলে আমার ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। ফেরৎ চাই আমার জমি, বাঁচতে চাই ওদের হাত থেকে।
ঘটনার সত্যতা জানতে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো, আকবর আলী শেখের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নং ০১৭৭৮-৮৪ ৭৮ ১৬ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শেখ রফিকের কথা সত্য নয়। আমি নিজের রেকর্ডকৃত সম্পত্তিতে বসতবাড়ী নির্মানের কাজ করছি।
লাল সবুজের দেশ
Leave a Reply